Spread the love

ঘর সাজানোর সরঞ্জামের মধ্যে ইন্ডোর প্ল্যান্ট বিগত কয়েক বছর ধরেই বেশ জনপ্রিয়। এমনই একটি গাছ হল মন্সটেরা, যার অপরূপ সৌন্দর্য বাড়ির অন্দরমহলের চেহারাটাই বদলে দেয়।

মন্সটেরার পাতা দেখলে মনে হয়, খাঁজকাটা বড় কচুপাতা। তবে কচুপাতার মতো পাতলা নয়, বেশ পুরু আর চকচকে। লতানো গাছটি ঘরে-বাইরে যেখানেই রাখা হোক, নজর কাড়ে এক দেখায়। স্বল্প আলো-হাওয়া আর অল্প যত্নে বেড়ে ওঠে এই গুল্ম প্রজাতির গাছটি। তাই তো নার্সারি থেকে ঘর, ঘর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-সর্বত্র চোখে পড়ছে মন্সটেরা। কীভাবে যত্ন নেবেন এর?

মন্সটেরা কেন এত আকর্ষণীয়

ফটোজেনিক

লোকে মন্সটেরা পছন্দ করে মূলত এর সৌন্দর্যের কারণে। বিশেষত, ছবিতে মন্সটেরা অপূর্ব। দৃষ্টিনন্দন চকচকে সবুজ পাতা স্টাইলিশ ইন্টেরিয়র ডিজাইনে যোগ করে নতুন মাত্রা।

বাতাস বিশুদ্ধকারক

অন্যান্য ইনডোর প্ল্যান্টের মতো মন্সটেরারও আছে বাতাস বিশুদ্ধ করার ক্ষমতা। বাতাসের বিষাক্ত উপাদান দূর করে বাতাসকে করে নির্মল ও বিশুদ্ধ।

অল্প যত্নের গাছ

বিশাল বিশাল পাতার জন্য দেখতে দৈত্যাকার মনে হলেও এর খাবারের চাহিদা অতি অল্পই বলা চলে। এরা একবার বাড়তে শুরু করলে সূর্যের আলো কিংবা ঘরের আলো–আঁধারি—সবখানেই সমানতালে বাঁচতে পারে। এমনকি অন্যান্য গাছের মতো ঘন ঘন জল দেওয়ারও প্রয়োজন নেই। গোড়ার মাটি শুকিয়ে এলে অল্প পরিমাণ জল দিলেই হলো।

সহজেই চারা করা যায়

পর্যাপ্ত আলো আর যথেষ্ট আর্দ্রতা আছে—এমন মাটিতে মন্সটেরার ডাল বা কাটিং থেকে সহজেই চারা করা যায়।

গৃহসজ্জায় ভিন্ন মাত্রা

ঘরের ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে মন্সটেরা। বসার ঘর থেকে ডাইনিং, পড়ার ঘর থেকে বারান্দা—ঘরের যেকোনো জায়গায় মন্সটেরা বসিয়ে দেওয়া চলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts