পুজোর কটা দিন আমরা নিজেদের সবটুকু দিয়ে সাজি। এই সময় অনেকেই চুলে স্ট্রেটনিং, স্মুদনিং, বা ঝলমলে কালার করিয়ে থাকি। কিন্তু উৎসবের আনন্দের মাঝে চুলের নিয়মিত যত্ন নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে। ফলাফল? পুজোর শেষে দেখা যায় চুলের সেই নতুন জেল্লা যেন ফিকে হয়ে আসছে, চুল হয়ে উঠেছে রুক্ষ ও প্রাণহীন।
আসুন, জেনে নিই পুজোর পর আপনার কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করা বা কালার করা চুলের বিশেষ যত্ন কীভাবে নেবেন, যাতে ট্রিটমেন্টের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং চুল থাকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

১. ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক বাধ্যতামূলক:
পুজোর সময়টায় চুল অতিরিক্ত ধুলো, রোদ ও আর্দ্রতার সংস্পর্শে এসেছে। তাই সপ্তাহে দু’বার হাইড্রেটিং হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। এটি চুলের কিউটিকলে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনবে এবং স্ট্রেটনিং-এর প্রভাব ধরে রাখতে সাহায্য করবে। নারকেলের দুধ, মধু বা অ্যাভোকাডো-যুক্ত মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।

২. ‘সালফেট-ফ্রি’ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার:
যদি আপনার চুলে কালার বা কোনো কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করা থাকে, তবে অবশ্যই সালফেট এবং প্যারাবেন-মুক্ত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। সালফেট ক্ষতিকারক কেমিক্যাল দ্রুত ধুয়ে দেয়, ফলে কালার তাড়াতাড়ি ফেড হয়ে যায় এবং চুল রুক্ষ হয়। কন্ডিশনার ব্যবহারের পর ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন, এটি চুলের কিউটিকল বন্ধ করে জেল্লা বাড়ায়।
৩. তেলের ম্যাসাজ, কিন্তু সাবধানে:
পুজোর পর সপ্তাহে একবার হালকা গরম তেল (যেমন আর্গান বা আমন্ড অয়েল) দিয়ে স্ক্যাল্পে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। তবে খেয়াল রাখবেন, তেল যেন অতিরিক্ত গরম না হয় এবং চুলে বেশি সময় না থাকে—বিশেষত যদি আপনার চুল স্ট্রেটনিং করা থাকে, কারণ তেল চুলের সোজা ভাব নষ্ট করতে পারে। শ্যাম্পুর এক ঘণ্টা আগেই ধুয়ে ফেলুন।

৪. সিরামের ব্যবহার:
চুল শুকানোর পর অল্প পরিমাণে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন। সিরাম সূর্যের ক্ষতি থেকে চুলকে বাঁচাবে এবং রুক্ষতা কমিয়ে চুলে একটা স্বাস্থ্যকর ঔজ্জ্বল্য দেবে।
এই সহজ রুটিনগুলো মেনে চললে আপনার চুলের ট্রিটমেন্টের জেল্লা যেমন দীর্ঘস্থায়ী হবে, তেমনি উৎসবের ক্লান্তিও চুল থেকে দূর হবে।