ফুলকপি, বাঁধাকপি শ্রেণির আরেকটা সবজি হল ব্রোকলি। সালাডে ও রান্নায় অনেকেই ব্রোকলি খান। এখন বাজারে প্রচুর ব্রোকলি পাওয়া যাচ্ছে। খুবই পুষ্টিকর সবজি। এর গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন-
১. ভিটামিন সিঃ লেবুর দ্বিগুণ ও আলুর সাত গুণ ভিটামিন সি আছে ব্রোকলিতে। যাদের ভিটামিন সি দরকার, তারা অল্প করে হলেও প্রতিদিন ব্রোকলি খেতে পারেন। ভিটামিন সি থাকায় এটি ত্বক সুন্দর করতেও সাহায্য করে।
২. ক্যানসার প্রতিরোধঃ ব্রোকলির বিটা ক্যারোটিন ও সেলিনিয়াম- কোলন, ফুসফুস, যকৃত, স্তন ও প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ সেলিনিয়াম দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে প্রচুর ভিটামিন এ থাকায় ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে বাধা দেয়। সর্দি-কাশিও ঠেকাতে পারে ব্রোকলি।
৪. গ্যাসট্রাইটিস প্রতিরোধঃ গ্যাসট্রিক আলসার ও গ্যাসট্রাইটিস প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর ব্রোকলি। বাঁধাকপির থেকে এতে অনেক বেশি ভিটামিন ইউ (মেথিওনাইনের উপজাত) থাকে। এতে সালফরাফেন নামের উপাদান থাকে যা গ্যাসট্রিক অ্যালসার ও ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৫. বয়স ঠেকাতেঃ শরীরে সক্রিয় অক্সিজেন প্রতিরোধ করে ও বিষমুক্ত করে দ্রুত বয়স হয়ে যাওয়া ঠেকাতে সাহায্য করে ব্রোকলি।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণেঃ ব্রোকলিতে চর্বি ও ক্যালোরি কম কিন্তু আঁশ বেশি। তাই বেশি করে ব্রোকলি খেলে ক্ষতি নেই। ব্রোকলিতে বেশি আয়রন থাকায় ডায়েটের সময় ঝিম ধরা ভাব দূর হয়।
ব্রোকলি কেনার সময় সতেজ, শক্ত কুঁড়ি ও গাঢ় সবুজ দেখে কিনতে হবে। ব্রোকলির শুধু কুঁড়ি অংশটি খেতে পারেন। আবার চাইলে নরম ডাঁটা অংশটুকু রাখতে পারেন। ডাঁটাতেও পুষ্টি আছে। ব্রোকলি রান্নার পাশাপাশি সালাড ও মাংসের সঙ্গে রোস্ট করেও খাওয়া যায়।