Spread the love

সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে পান্তার কোনও বিকল্প নেই। বিশেষ করে গরমকালে প্রায় সকলেরই একটা ভীষণ পছন্দের খাবার হল পান্তা ভাত। ভোজনপ্রিয় বাঙালির ভাত ছাড়া দিন অসম্পূর্ণ। তার উপর পান্তা ভাত হলে তো আর কথাই নেই! গ্রামাঞ্চলে ঘরে ঘরে পান্তার রমরমা দেখা যায়। তবে, শহরে এর আধিক্য কম হলেও অনেকেই পান্তা ভাত খেতে ভালোবাসেন। পান্তা ভাতের অগন্তি গুণাবলি রয়েছে। তাই স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য পান্তা ভাতের উপকারিতাগুলি জেনে রাখুন…   

১। শক্তি প্রদান –  

  • ফার্মেন্টেশনের ফলে পান্তা ভাতে ভিটামিন বি১২-এর মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পান্তা ভাত খেলে শরীরে শক্তি বাড়ে। তার সঙ্গে এটি শরীরের ক্লান্তি ভাব কমাতে এবং দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে।
  • অনিদ্রা দূর করতেও পান্তার জুড়ি মেলা ভার।

২। হাইড্রেশনে সহায়ক

  • পান্তা ভাত শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে।  
  • যেহেতু পান্তাতে জলের পরিমাণ বেশি তাই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।

৩। রক্তচাপ ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণ –

  • পান্তা ভাতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম ও পটাশিয়ামের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি হওয়ায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।
  • এটি ন্যাচারাল ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়তা করে।

৪। ত্বক ও চুলের যত্নে সহায়ক –

  • পান্তা ভাত ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এতে ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।
  • এছাড়া, পান্তা কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের ইলাস্টিসিটি বৃদ্ধি করে যা উজ্জ্বলতার পাশাপাশি ত্বককে মসৃণ ও টানটান করে।
  • এটি ফ্ল্যাভনয়েডস উপাদানে সমৃদ্ধ যা চুলের জন্যও খুব ভালো।

৫। অ্যাসিডিটি ও অন্ত্রের সমস্যা প্রতিরোধ করে –

  • পান্তা ভাত দেহের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে গ্যাস-অম্বল, অ্যাসিডিটি, আলসারের মতো সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।
  • এই খাবারে প্রো-বায়োটিক রয়েছে, যা জটিল অন্ত্রের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।

পান্তা ভাত শুধু পুষ্টিগুণে নয়, স্বাদেও অসামান্য। তাই প্রচণ্ড হিট থেকে বাঁচতে পুরো গরমকাল জুড়ে খাদ্যতালিকায় পান্তা ভাত রাখার চেষ্টা করুন। পান্তা খান মন ভরে; মেজাজ রাখুন ফুরফুরে।    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts