রোগের কোনও বয়স নেই। ফলে এখন যে কোনও বয়সেই যে কোনও রোগ শরীরে বাসা বাধতে পারে। এর কারণ রাত জাগার অভ্যাস, বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক, প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপরে অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা, শরীরচর্চার প্রতি অনীহা।

সেরকমই হল কোলেস্টেরল। কোলেস্টেরল এক বার ধরা পড়লে সহজে তা কমানো মুশকিল। এর হাত ধরে শরীরে হানা দেয় হৃদরোগ। তবে আয়ুর্বেদ বলছে, নিয়ম করে রোজ কয়েকটি কারিপাতা খেতে পারলে এই সমস্যা বশে রাখা যায়। কারিপাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফাইবারের মতো খনিজ এবং ভিটামিন এ, বি, সি ইত্যাদি।
কী কী ভাবে খেতে পারেন কারিপাতা?
১। কারিপাতা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রেখে দিতে পারেন। স্যালাড, স্যুপ কিংবা টক দইয়ে উপর থেকে কারিপাতা গুঁড়ো ছড়িয়ে নিয়ে খেতে পারেন। বিপাকক্রিয়া সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই টোটকা। এ ছাড়া ডাল, তরকারিতেও কারিপাতা কুচিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
২। আবার, কারিপাতা ব্লেন্ড করে নানা ধরনের ফল, টক দই দিয়ে তৈরি স্মুদিতে মিশিয়ে নিতে পারেন। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ কারিপাতা রক্তে ‘লিপিড’-এর পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

৩। সবচেয়ে সহজ উপায় হল জলে কারিপাতা ভিজিয়ে সেই পানীয় খেয়ে নেওয়া। অনেকে চা পাতার বদলে জলে কারিপাতা ফুটিয়ে খান। সে পন্থাও ভাল।