ঘর সাজাতে ইন্ডোর প্লান্টের জুড়ি মেলা ভার। আসবাব যেমনই হোক, ঘরের এক কোনে একটি গাছ রাখুন- শোভা বাড়বে। আসলে গাছই তো সবচেয়ে সুন্দর শিল্পকলা। তবে শুধু শোভা বৃদ্ধিই নয়, ঘরে গাছ রাখলে মুডও থাকবে ভাল। বিশেষ করে শহরের ফ্ল্যাটবাড়িতে প্রকৃতিকে অনেকেই মিস করেন। সেখানে একটি গাছের ছোঁয়াই সুন্দর করে তুলবে আপনার দিন।
স্নেক প্ল্যান্টঃ
এই গাছের পাতার আকৃতি এবং ধারালো প্রান্ত দেখতে অনেকটা সাপের মতো। এই কারণে গাছটিকে স্নেক প্ল্যান্ট বলা হয়। এটি দেখতে খুব সুন্দর। বাস্তুমতে এই গাছ বাড়িতে থাকা ভাল। এর পরিচর্যা করতে আপনাকে বিশেষ বেগ পেতে হবে না। সুদূর আফ্রিকার জন্ম নেওয়া এই গাছ, দীর্ঘসময় ধরে আলো এবং জল ছাড়া দিব্যি থাকতে পারে। বছরের যে কোনও সময় স্নেক প্ল্যান্ট বাড়িতে লাগানো যায়। এই গাছের পাতা থেকেও নতুন গাছ হয়। এতে এক মাস মতো সময় লাগতে পারে। বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এই গাছ লাগানো শুভ বলে মনে করা হয়।
মানি প্ল্যান্টঃ
হয় তো ভাবছেন এ আর এমন কী গাছ! আসলে সেই জন্যই এই নাম রাখা। কারণ মানি প্লান্ট করা বেশ সহজ। আর ঠিকভাবে যত্ন নিলে মানি প্লান্টের সৌন্দর্য্য অনেক দামি গাছকেও হার মানায়। বিভিন্নভাবে করতে পারেন মানিপ্লান্ট। ছোট টবে করে বারান্দায় হ্যাঙ্গিং প্লান্ট হিসাবে করতে পারেন। আবার বড় টবের মাঝে একটি লাঠি পুঁতে নিতে পারেন। সেটি বেয়ে বেয়ে মানিপ্লান্ট বাড়বে। আবার ছোট বাহারি টবেও করতে পারেন। বুক সেলফ বা টেবিলের এক কোনে রাখবেন। একটু খোঁজ নিলেই কোনও বাগানপ্রেমী বন্ধুর থেকে কাটিং পাবেন। বসানোর সময়ে মাঝারি টবে অন্তত ৭-৮টি কাটিং বসাবেন। আর মাঝে মাঝে ট্রিমিং করবেন। ঘন হবে।
এরিকা পামঃ
ভারতে যদি সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্ডোর প্লান্টের তালিকা করা হয়, তার মধ্যে প্রথম দশে অবশ্যই এরিকা পামের নাম থাকবে। যে কোনও নার্সারিতেই পাবেন এরিকা পাম। দামও খুব বেশি নয়। খুব বেশি যত্নেরও প্রয়োজন নেই। টবে জল না বসলেই হল। তবে অন্যান্যগুলির তুলনায় এটি একটু বেশি রোজ পছন্দ করেন। তাই জানলার ধারে বা বারান্দায় রাখলে সবচেয়ে ভাল। অথবা সপ্তাহে ২ দিন ঘরে রেখে বাকি ৫ দিন বারান্দা বা বাগানে রাখতে পারেন। এই গাছটি যেহেতু একটু লম্বা হয়, তাই খাট বা সোফার পাশে, ঘরের এক কোনে দেখতে বেশ সুন্দর লাগে।
জারবেরা ডেইজ়িঃ
যদি অন্দরে চাই আরেকটু রঙের আভাস, তাহলে বাড়িতে এই গাছকে সাদরে নিয়ে আসুন। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে সারা বিশ্বে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে এই গাছের ফুল। এই পদক যে একেবারে সার্থক তা এর অপূর্ব সুন্দর বড় বড় কমলা বা গোলাপি রঙের ফুলগুলি দেখলেই ঠাহর হয়। এই গাছ অল্পস্বল্প রোদ পছন্দ করে। এর পাতাকে শুকনো রেখে শিকড়ে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। শীতের সময় জলের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনুন। প্রত্যেক দুই সপ্তাহ একে সার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।