বাংলার শীতকালীন পুষ্টিকর সবজিগুলির মধ্যে ফুলকপি হল অন্যতম। ফুলকপিতে থাকে ৮৫% জল, অল্প পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ও প্রোটিন। কম ক্যালোরিসম্পন্ন এই সবজিতে ভিটামিন A, C ও ক্যালসিয়াম, মিনারেল, অ্যান্টি – অক্সিডেন্ট এবং অন্য ফাইটোকেমিক্যাল থাকে। এবার দেখে নেওয়া যাক শীতের সবজি ফুলকপির কিছু গুণাগুণ।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
ফুলকপিতে সালফার যৌগ সালফোরাফেন থাকে, যা ব্লাডপ্রেশারের উন্নতিতে সাহায্য করে। এই সালফোরাফেন ক্যান্সার রোগ সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করতে পারে এবং টিউমারের বৃদ্ধিকে বাধা দেয়। ফুলকপির সঙ্গে হলুদ যোগ করে গ্রহণ করলে প্রোস্টেট ক্যান্সার নিরাময়ে ও প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া পাকস্থলী, প্রস্টেট, স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে ফুলকপি।
ফুসফুস রক্ষা
নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, ভয়াবহ ফুসফুস রোগের জন্য যে সমস্ত কারণ দায়ী, তা প্রতিরোধ করতে ফুলকপি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিসের কারণে রক্তনালীর যে ক্ষতি হয়, তা প্রতিরোধ করতেও খাওয়া উচিৎ ফুলকপি। এছাড়া ফুলকপি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
বিষমুক্ত শরীর
ফুলকপির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীর পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এতে গ্লুকোসাইনোলেটস থাকে, যা এনজাইমকে সক্রিয় করে এবং ডিটক্স হতে সাহায্য করে।
প্রদাহ কমায়
ফুলকপিতে ইন্ডোল ৩ কার্বিনোল বা 13C থাকে, যা একটি অ্যান্টি – ইনফ্লামেটরি উপাদান। এটি শক্তিশালী ইনফ্লামেটরি প্রতিরোধ করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
ফুলকপির আরও একটি অন্যতম গুণ হল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা। যাঁরা ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা ফুলকপিকে খাবারের তালিকায় রাখতে দ্বিধা করবেন না।
চোখ ভালো রাখে
ফুলকপিতে ভিটামিন A এর পরিমাণ বেশি থাকায় চোখকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এমনকি দেহের কোথাও কেটে গেলে ফুলকপির কচি পাতার রস লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়।
হজমের উন্নতি
ফাইবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হওয়ায় ফুলকপি হজমে সাহায্য করে। সবজিতে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শরীরকে সুস্থ রাখতেও অন্যতম ভূমিকা গ্রহণ করে।
বাড়তি ওজন কমায়
ফুলকপি শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে শরীরকে একটি সুন্দর গঠনে আনতে সাহায্য করে। যাঁরা শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত ও ডায়েট করার কথা ভাবছেন, তাঁরা নির্দ্বিধায় ডায়েট লিস্টে ফুলকপির নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।