সকালবেলা জামা পড়তে গিয়ে কি পেটটা একটু বেশিই চোখে পড়ছে? ছবি তুললেই মনে হচ্ছে – ‘পেটটা বেরিয়ে আছে!’ এই অনুভূতি আজকাল অনেকেরই! পেটের মেদ শুধু লুকের সমস্যা নয়, শরীরের ভেতরের সমস্যারও লক্ষণ। জিম না গিয়েও, কঠিন ডায়েট না করেও কিছু সাধারণ অভ্যাস বদলেই পেটের মেদ ধীরে ধীরে কমানো সম্ভব। তাই এবার আর ‘কাল থেকে শুরু করব’ –বলার দিন কিন্তু শেষ। নিচে রইল কিছু সহজ উপায় আর বোনাস টিপস –

১। সুষম ও পরিমিত খাবার খাওয়া শুরু করুনঃ
- পেটের মেদ কমাতে হলে প্রথমেই নজর দিতে হবে খাওয়াদাওয়ার দিকে। ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত তেল – মশলা, মিষ্টি খাবার, সফট ড্রিংক –এসব যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
- প্রতিদিনের খাবারে রাখুন প্রচুর শাকসবজি ও ফল, হোল গ্রেইন খাবার আর পরিমিত প্রোটিন (ডিম, মাছ, মুগ ডাল ইত্যাদি)

২। নিয়মিত শরীরচর্চা করুনঃ
- শুধু ডায়েট করলেই চলবে না, পেটের মেদ কমাতে দরকার নিয়মিত এক্সারসাইজ।
- প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটা, দৌড়, জাম্পিং জ্যাকস, সিট – আপস, প্ল্যাঙ্ক কিংবা সহজ যোগাসন করুন।

৩। পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুনঃ
- রাতে ঘুম কম হলে কর্টিসল নামে এক ধরনের স্ট্রেস হরমোন শরীরে বেড়ে যায়, যা পেটের আশেপাশে চর্বি জমাতে সাহায্য করে।
- প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ভালো ঘুম জরুরী।
- এছাড়া ধ্যান, গান শোনা বা হালকা হাঁটাচলার অভ্যাস মানসিক চাপ কমায়।

৪। পানীয় সচেতনতা আনুনঃ
- জল খেলে শরীর ডিটক্স হয় এবং হজমের গতি বাড়ে। এছাড়া বারবার খিদে পাওয়ার প্রবণতাও কমে।
- দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস জল খাওয়ার অভ্যাস করুন।

৫। এক জায়গায় বসে না থেকে সচল থাকুনঃ
- অফিস হোক বা বাড়ি, প্রতি ১ ঘন্টা অন্তর ৫ মিনিট হলেও হাঁটুন।
- লিফট নয়, সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
- দিনে অন্তত ৮,০০০ – ১০,০০০ স্টেপস হাঁটার টার্গেট রাখুন।

বোনাস টিপসঃ
- সকালে খালি পেটে গরম জল ও লেবুর রস খেলে উপকার পাওয়া যায়।
- রাতের খাবার হালকা রাখুন ও খাওয়ার অন্তত ২ ঘন্টা পর ঘুমাতে যান।
- স্ন্যাকস হিসেবে ভাজাভুজির বদলে বাদাম, ফল বা দই বেছে নিন।
পরিবর্তন রাতারাতি হয় না, কিন্তু প্রতিদিন একটু একটু করে বদলালেই বড় ফল মেলে। আজ থেকেই শুরু করুন।