Spread the love

এই গরমকালে বাচ্চাদের একটা সাধারণ সমস্যা হল ফুসকুড়ি। অতিরিক্ত ঘাম ও ধুলো-বালি ত্বকে জমে Rashes, ঘামাচি বা ফুসকুড়ির সৃষ্টি করে। বিশেষ করে বাচ্চাদের মাথায় ঘাম বসে Rashes সমস্যা আরও বেড়ে যায়। অসহ্য চুলকানির কারণে, অনেক সময় বাচ্চারা চুলকে ফেলে তাতে হয় আরও বড়ো বিপত্তি। আর এই সমস্যা নিয়ে চিন্তায় ঘুম উড়ে যায় অধিকাংশ মা- বাবাদের। তাই জেনে নাও কীভাবে খুব সহজে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।

সঠিক খাওয়া দাওয়াঃ

  • সর্বপ্রথম গরমে বাচ্চাদের খাওয়া- দাওয়ার দিকে নজর রাখতে হবে।
  • বিশেষ করে প্রোটিন ও অ্যামাইনো অ্যাসিডের যদি ঘাটতি থাকে, তবে তা পূরণ করতে হবে।
  • তাই মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ও শষ্য জাতীয় খাবার, বিভিন্ন শাকসবজি, বিনস, কাঠবাদাম ইত্যাদি খেতে হবে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়াঃ

অনেক সময় পরিমাণ মতো জল না খাওয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে গিয়ে Rashes বা ফুসকুড়ির সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে।

নিমের ব্যবহারঃ

  • আমরা সকলে জানি নিম অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিসেপটিক হওয়ার কারণে ব্রণ, Rashes, অ্যালার্জি দূর করতে সহায়ক।
  • তাই প্রতিদিন স্নানের জলের মধ্যে, ৩-৪ টি নিম পাতা দিয়ে ফোটানো জল মিশিয়ে আপনার বাচ্চাকে স্নান করান।
  • এছাড়া নিম পাতা বেটে লাগালে দ্রুত Hit Rashes, অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

মধু হলুদের ব্যবহারঃ

  • হলুদ ও মধু প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক হওয়ায় কাটা, ছেঁড়া, ফুসকুড়ি, যেকোনো ইনফেকশনে ব্যবহার করা যায়।
  • তাই Hit Rashes থেকে বাচ্চাদের রক্ষা করতে কাঁচা হলুদ বেটে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে ফুসকুড়ির জায়গায় লাগিয়ে রেখে দিন ১ ঘণ্টা
  • এরপর ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন।

যষ্টিমধুঃ

যষ্টিমধু প্রাকৃতিক ভাবে ঠাণ্ডা হওয়ায়, যেকোনও জ্বালা পোড়া উপশমে সহায়ক। তাই যষ্টিমধু লাগালে তৎক্ষণাৎ ফল পাওয়া সম্ভব।

হালকা সুতির জামা কাপড়ের ব্যবহারঃ

এই গরমে চেষ্টা করবেন সবসময় বাচ্চাকে হালকা, সুতির ও ঢিলে ঢালা জামা পরানোর। যাতে ত্বকে ঘাম না জমে।

ঠাণ্ডা পরিবেশে রাখাঃ

গরমে শিশুকে বদ্ধ পরিবেশে রাখা উচিত নয়। ঘরের দরজা জানলা খুলে রেখে মুক্ত পরিবেশে, অথবা সর্বদা পাখা ও এসি ব্যবহার করে পরিবেশকে ঠাণ্ডা রাখুন।

ডাক্তারের পরামর্শঃ

এই গরমে ঘামাচি ও র‍্যাশ হওয়া স্বাভাবিক। তবে মাথায় রাখবেন শিশুদের ত্বক খুবই সংবেদনশীল তাই কিছু ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

সঠিক যত্নে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় রাখলে শিশুর ত্বক থাকবে সুস্থ, স্বচ্ছ ও আরামদায়ক।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts