Spread the love

দেশের জনপ্রিয়, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর শাকের মধ্যে অন্যতম পুঁইশাক। ইলিশ-পুঁই ও চিংড়ি-পুঁই অনেকের অতি প্রিয় খাবার। নানা ধরনের ভিটামিনসমৃদ্ধ এই শাক একদিকে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে অন্যদিকে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও ভূমিকা রাখে। পুঁইশাক বাজারে সারা বছর কম-বেশি পাওয়া যায়। প্রবাদ আছে—শাকের মধ্যে পুঁই, মাছের মধ্যে রুই।

সবুজ ও লাল এই দুই রঙের হয়ে থাকে পুঁইশাক। পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘বি`, ‘সি` ও ‘এ` পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং আয়রন আছে। নানা ধরনের ভিটামিনসমৃদ্ধ এই শাকটি একদিকে যেমন বহুবিধ রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, অন্যদিকে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সহজলভ্য বলে এই শাক কম-বেশি সবার কাছে প্রিয়।

পুঁইশাকের পুষ্টিগুণের কারণে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে। আসুন জেনে নিই পুঁই শাকের উপকারিতা সম্পর্কে—

১. পুঁইশাকে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি ত্বকের রোগজীবাণু দূর করে, শারীরিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, সেই সঙ্গে চুল মজবুত করে।

২. নিয়মিত পুঁইশাক খেলে পাইলস, ফিস্টুলা ও হেমোরয়েড হওয়ার আশঙ্কা থাকে খুবই কম।

৩. পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে, যা পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

৪. যারা ত্বকে ব্রণের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য পুঁইশাক খুবই ভালো।

৫. বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা দূর করে। এ ছাড়া পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় এই শাক রোগ প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।

৬. পুঁইশাকের আছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ। শরীরের কোনো অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ফুলে গেলে পুঁইশাকের শিকড় বেটে লাগালে দ্রুত উপশম হয়।

৭. বিভিন্ন চর্মরোগ কিংবা ফোঁড়ার মতো অনাবশ্যক সংক্রমণের বিরুদ্ধেও লড়তে পারদর্শী পুঁইশাক।

৮. যাদের প্রায় প্রতিদিনই মাথাব্যথা থাকে, নিয়মিত পুঁইশাক খেলে তারা উপকার পাবেন খুব দ্রুত। তাই পরিবারের সবার স্বাস্থ্যসচেতনতায় খাদ্যতালিকায় নিয়মিত রাখুন পুঁইশাক।

About Author
Adwitiya Magazie
View All Articles
Check latest article from this author !
নিউ ইয়ার পার্টি লুক
ফুলকপি ঘি রোস্ট
ফুলকপির যত গুণ

Related Posts