শীতের দিনে হালুয়া খেতে কার না ভাল লাগে! শীত মানেই বাড়িতে বাড়িতে পিঠে আর পায়েসের উৎসব। নতুন গুড় আর নতুন চালের গুঁড়ি দিয়ে বাড়িতে বাড়িতে নানা রকম পিঠে বানানো হয়। খেতে আর খাওয়াতে কিন্তু ভীষণ ভালবাসে বাঙালি। আর তাই যতই ডায়েটের গুঁতো থাক না কেন শীত মানেই বাড়িতে কোনও একরকম মিষ্টি থাকবেই। শহরে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে আর বাড়িতে একটু গাজরের হালুয়া হবে না, এমন কিন্তু খুব কম বাড়িই রয়েছে। এছাড়াও হালুয়া খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতাও রয়েছে। তাই মিষ্টি এড়াতে চাইলে গুড় কিংবা মধু দিয়ে বানাতেই পারেন। চাইলে ব্যবহার করুন সুগার ফ্রি বা দু চামচ কনডেন্স মিল্ক। এতে খেতে যেমন ভাল হবে তেমনই কিন্তু বজায় থাকবে পুষ্টিও। হালুয়ার এই ৫ রেসিপি দেখে নিন ঝটপট
গাজরের হালুয়া
গাজর ভাল করে কুরে নিন।
এবার কড়াইতে এক চামচ ঘি দিয়ে গাজর ভাল করে নেড়ে নিন।
গাজর থেকে জল ঝরে তা খানিকটা ভাপে সিদ্ধ হওয়ার পর ওর মধ্যে দু থেকে তিন চামচ কনডেন্স মিল্ক মিশিয়ে দিন।
এলাচ গুঁড়ো দিন।
এবার আস্তে আস্তে দুধ মেশাতে থাকুন। যাঁদের ডায়াবিটিসের সমস্যা নেই কিংবা ডায়েট করছেন না তাঁরা অল্প একটু খোয়া ক্ষীর মিশিয়ে নিতে পারেন।
এবার উপর থেকে ড্রাই ফ্রুটস ছড়িয়ে দিলেই তৈরি হালুয়া।
মুগ ডালের হালুয়া
মুগ ডাল ভিজিয়ে রাখুন ৬-৮ ঘন্টা।
এরপর তা মিক্সিতে ভাল করে বেটে নিন।
এবার কড়াইতে ঘি দিয়ে মুগডাল বাটা দিয়ে নাড়তে থাকুন।
পরিমাণ মতো সুগার ফ্রি মেশান।
এবার শুকনো হয়ে এলে মিশিয়ে নিন ড্রাই ফ্রুটস।
সুজির হালুয়া
বাড়িতে কোনও পুজো মানেই কিন্তু প্রসাদে সুজির হালুয়া থাকবেই। নারায়ণের এই হালুয়া খুব প্রিয়।
সুজির হালুয়া বানাতে আগে কড়াইতে ঘি দিয়ে সুজি ভেজে নিতে হবে।
এবার ওর মধ্যে দুধ আর চিনি মিশিয়ে নিন।
সামান্য কেশর, কাজু-কিশমিশ মিশিয়ে নিলেই কিন্তু তৈরি সুজির হালুয়া।
চাইলে পেস্তা কুচি দিতে পারেন। এতে স্বাদ বাড়ে বই কী!
বেসনের হালুয়া
প্যানে ঘি দিয়ে লাল করে বেসন ভেজে নিতে হবে।
ভাজা হয়ে গেলে ওর মধ্যে আস্তে আস্তে দুধ ঢালুন।
চিনি কিংবা গুড় মেশান।
ঘন হয়ে এলে মিশিয়ে নিন ড্রাইফ্রুটস।
সব হয়ে এলে উপর থেকে আবারও একটু ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। এই হালুয়া কিন্তু গরম গরম সবথেকে ভাল লাগে।
কাশ্মীরি হালুয়া
এই হালুয়া খেতে অপূর্ব হয়, তবে বানানো হয় ওটস দিয়ে। যতটা পরিমাণ দুধ ব্যবহার করবেন তাতে আগে থেকে কয়েক দানা জাফরান ফেলে রাখুন।
এবার প্যানে ঘি দিয়ে ওটস নাড়তে থাকুন।
ওটস রোসেট হলে এই দুধ মিশিয়ে দিন। স্বাদমতো মিষ্টি দিন।
নামানোর আগে ড্রাই ফ্রুটস ছড়িয়ে দিন। এই হালুয়াতে কিন্তু মিষ্টি বেশ কম থাকে।