শীত আসার অপেক্ষা করে থাকেন অনেক বাগান-প্রেমী। যার সবচেয়ে বড় কারণ হল রং-বেরঙের ফুল। শীতের ফুলের যে বৈচিত্র্য, যে সৌন্দর্য রয়েছে, তা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। প্রায়ই দেখা যায়, মধুর খোঁজে ফুলে ফুলে ঘুরছে প্রজাপতি। কে না চায়, একটুকরো প্রকৃতিকে ছাদে নিয়ে এসে ফেলতে! দেখে নিন কলকাতার শীতে কোন ৫ গাছ দুর্দান্ত ফুল দেয়, ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল, গাছ ভরে থাকে নানা রঙে।
গাঁদা
গাঁদা ফুলের নানা রকমের ভ্যারাইটির চারা আপনি বাজারে পাবেন। ইনকা গাঁদা, মাছি গাঁদা, সাদা গাঁদা— লিস্ট বেশ লম্বা। আর গাঁদা গাছে বেশি ফুল পাওয়ার মূল মন্ত্রই হচ্ছে পিঞ্চিং। অর্থাৎ অন্তত একমাস নতুন শাখা একটু বড় হলেই মাথাটা চিমটি দিয়ে ছিঁড়ে দেবেন। এতে দেখবেন নতুন নতুন ডাল-পালা গজাচ্ছে। আর গাছও কত ঝাঁকড়া হচ্ছে।
পিটুনিয়া
পিটুনিয়া ফুল কমবেশি সারা বছরই চোখে পড়ে পাহাড়ে ঘুরতে গেলে। তবে আপনি পিটুনিয়া লাগাতে পারবেন কলকাতাতেই। শীতে এই গাছ খুব ভালো ফুল দেয়। লাল থেকে সাদা, হলুদ, বেগুনি নানা রঙের বাহারি ফুল পাওয়া যায় এই গাছে। তবে মনে রাখতে হবে, পিটুনিয়া গাছ বৃষ্টির জল সহ্য করতে পারে না একেবারে। তাই শীতে বৃষ্টি হলে গাছ শেডে রাখার চেষ্টা করুন।
বেবি ডল
ছাদ বাগানে লাগাতে পারেন ডায়ান্থাস বা বেবি ডল। খুব হার্ডি হয় এই গাছ। এমনকী শীতের পর, গরমের শুরুর কয়েক মাস অবধি একটানা ফুল দিয়ে যায়। পোকার আক্রমণও সেভাবে হয় না। ডায়ান্থাসেরও রয়েছে বাহারি রং, সাদা-লাল-গোলাপি, পাবেন সবই।
কসমস
কসমস কিন্তু অক্টোবরের শেষ থেকেই ফুল ফোটানো শুরু করে দেয়। আর গাছে ফুল থাকে এপ্রিল অবধি প্রায়। শুধু শেষের সময়টা ছাওয়ায় রাখুন, যেখানে ৩-৪ ঘণ্টাই রোদ পড়ে। কসমস গাছে প্রজাপতির আনাগোনা লেগেই থাকে। হলুদ, কমলা, গোলাপি, বেগুনি, সাদা রঙের কসমস ফুল পাবেন আপনি বাজারে।
ডালিয়া
শীতের ফুলের কথা হবে, আর ডালিয়াকে ভুলে গেলে চলে নাকি। বাঙারি রঙের ডালিয়া পাবেন আপনি বাজারে। সঠিকভাবে যত্ন নিলে, এই ফুলের সাইজ দেখে মুখ হাঁ হতে বাধ্য। ছাদবাগান একাই আলো করে রাখে ডালিয়া।