Spread the love

কমলালেবু খাওয়া যেমন উপকারী, তেমনই শুষ্ক, মিশ্র বা তৈলাক্ত যে কোনও ত্বকের পরিচর্যায় এর কোনও বিকল্প নেই। নানা গুণে ভরপুর কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি।

কমলালেবুর রস ও খোসা, দুই-ই ত্বকের জন্য খুব উপকারী। একদিকে যেমন কমলালেবুর রস ও খোসা গুঁড়ো ক্লেনজ়ার হিসেবে দারুণ কাজ করে, তেমনই ত্বকের ময়শ্চার বজায় রাখতে সাহায্য করে। শুধু কি তাই! ব্রণ, সানট্যান, বলিরেখা, ডার্ক সার্কেল, অনুজ্জ্বল ত্বক আরও হাজারও সমস্যা দূর করতে কমলালেবু খুব ভাল কাজ করে। ত্বকের দাগছোপ কমিয়ে জেল্লাও বাড়ায়। এই প্রাকৃতিক উপকরণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনও ভয় নেই। হাতের কাছে সহজে পাওয়া যায়, খরচও প্রায় নেই বললেই চলে।

ক্লেনজ়িং, টোনিং, ময়শ্চারাইজ়িং

ত্বকের যত্নের জন্য কমলালেবুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হল সেটির খোসা। কমলালেবুর খোসা ভাল করে ধুয়ে নিয়ে মিক্সিতে বেটে নিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে পারেন। কিংবা খোসা ভাল করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে বোতলে ভরে ফ্রিজে স্টোর করে রাখুন। যখন যেমন দরকার যে কোনও ফেসপ্যাকে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। কমলালেবুর রসও ব্যবহার করতে পারেন স্কিন টোনিং-এর জন্য। এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বককে টোনড করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর একটা বাটিতে কমলালেবুর রস নিন। তাতে তুলো ভিজিয়ে ত্বকের উপরে হালকা করে চেপে চেপে লাগান। ব্লাড সার্কুলেশন ভাল হবে, জেল্লা বাড়বে। এর সঙ্গে গোলাপজল ও মধু মিশিয়ে তুলোয় করে মুখ মুছে নিন। শুকিয়ে গেলে ভিজে তুলো দিয়ে মুখ মুছে নিন। এতে রুক্ষভাব কমে যাবে।

কীভাবে তৈরি করবেন?  

বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন অরেঞ্জ ফেস প্যাক এবং অরেঞ্জ স্ক্রাবার। রোজ কমলা লেবু খাওয়ার সঙ্গে খানিকটা কম্লা লেবু মাখুন। মরশুমি ফলের গুণে ত্বক হয়ে উঠবে তকতকে।

অরেঞ্জ স্ক্রাবার:

কমলালেবুর খোসা বেটে নিয়ে সামান্য বেসন, গোলাপজল মিশিয়ে ঘন ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে জমে থাকা ধুলোবালি, ময়লা নিমেষে দূর হয়ে যাবে, ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত-ভাবও কমে যাবে।

অরেঞ্জ ফেসপ্যাকঃ

কমলালেবুর খোসা গুঁড়ো করে এক টেবলচামচ টক দই, সামান্য চালের গুঁড়ি মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে নিন। সপ্তাহে তিনদিন এই পেস্টটা সারা মুখে লাগিয়ে দেখুন, দারুণ স্ক্রাবারের কাজ করবে। বিশেষত ব্ল্যাকহেডের উপরে ভাল কাজ করবে। ১৫ মিনিট পরে হালকা হাতে সার্কুলার মুভমেন্টে ঘষে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। 

Related Posts