গ্রীষ্মের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ত্বকের সমস্যাও। অতিরিক্ত ঘাম, ধুলোবালি আর সুর্যের তাপে স্কিনে দেখা দেয় র্যাশ ও ইচিং। আর এই অস্বস্তিকর সমস্যাগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু একটু সচেতন হলেই এই সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়। চলুন জেনে নিই কেন হয় এই সমস্যা এবং কি কি সাবধানতা নেওয়া উচিত।

কেন হয় র্যাশ ও ইচিং?
- অতিরিক্ত ঘামে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়, ফলে ফুসকুড়ি বা র্যাশ দেখা দেয়।
- ধুলোবালি ও ঘামের সংমিশ্রণে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস জন্ম নেয়।
- ঘাড়, আন্ডারআর্ম, পিঠ, কুঁচকির মতো অংশে বাতাস চলাচল কম থাকায় বেশি প্রভাব পড়ে।

কী কী সাবধানতা নেবেন?
১। হালকা, ঢিলেঢালা, সুতির জামা পরুন। এতে ঘাম কম হবে ও ত্বকে হাওয়া চলাচল সহজ হবে।
২। শরীরের ভিতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরী।
৩। রোদে বেশি সময় থাকবেন না, প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করুন।

৪। ঘামপ্রবণ জায়গায় বেবি পাউডার বা কর্নস্টার্চ ব্যবহার করুন।
৫। ঘামে ভেজা জামা কখনোই বেশিক্ষণ পড়ে থাকবেন না।
৬। অ্যালোভেরা জেল, শসার রস বা নারকেল তেল ব্যবহার করলে ত্বক ঠান্ডা থাকে ও চুলকানি কমে।

৭। দিনে অন্তত দু’বার ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করুন। অ্যান্টিসেপ্টিক যুক্ত বডিওয়াশ বা নিমপাতা ভেজানো জল ব্যবহার করলে আরও ভালো।
রোজকার কয়েকটি সহজ অভ্যাসই দিতে পারে ত্বকে আরাম ও সুরক্ষা। তাহলে, গরমে ত্বকের যত্নে আর ঢিলেমি নয়।