স্ট্রেস কেন হয়? এর হাজারো কারণ আছে। কেউ কেউ সহজেই এ সবের মুখোমুখি দাঁড়াতে পারেন। কারও পক্ষে তা সম্ভব হয় না বলে ডাক্তারের সাহায্য নিতে হয়। এক একজন মানুষ এক একরকম হন, তারা পরিস্থিতির মোকাবিলাও করেন ভিন্নভাবে। তবে এমন কতগুলো রাস্তা আছে, যা মেনে চললে নিশ্চিতভাবেই জীবন অনেক স্ট্রেস-ফ্রী হয়ে উঠবে। জেনে নিন সেই রাস্তা-
![](https://adwitiya.net.in/wp-content/uploads/2025/02/9a0c27fc9ac5466b746f573fa11b2f67-man-stressed-at-work-holds-head_l.jpg)
নিজেকে গুরুত্ব দিন
যারা সংসার, কাজকর্ম, বন্ধুবান্ধব- সব দিকের চাপ সামলাতে গিয়ে জেরবার হয়ে পড়েন, নিজের যত্ন নেওয়ার সময় পান না, তাদের বলব- খুশি থাকতে গেলে, বিশেষ করে স্ট্রেস থেকে দূরে থাকতে হলে নিজেকে অবহেলা করবেন না। আগে আপনি ঠিক থাকুন। রোজ একটু নিজেকে সময় দিন, সেটা সকালে বা দিনের শেষে যখনই হোক না কেন।
আপনি যা করতে পছন্দ করেন, সেটি করুন
কেউ হয়তো খেয়ে আনন্দ পান, কেউ আবার ভালো নাটক বা সিনেমা দেখে আনন্দ পান। যাই হোক না কেন, নিজের পছন্দের কোনও একটা বিষয় খুঁজে বের করুন। ড্রয়িং খাতায় স্কেচ করলে বা মিউজ়িক শুনলেও এই আনন্দটা পেতে পারেন। কোনও হবি থাকলে তার চর্চাও করতে পারেন। আজকাল খুব সহজেই মিউজ়িকাল ইন্সট্রুমেন্ট বাজাতে শেখা যায় ফোন দেখেই- তেমন কিছুই ট্রাই করে দেখতে পারেন।
![](https://adwitiya.net.in/wp-content/uploads/2025/02/nature-quest-1428299005-1-1024x577.jpg)
প্রকৃতির মাঝে সময় কাটান
যারা গ্রামের দিকে থাকেন বা যারা রোজ সকালে বাড়ির কাছাকাছি কোথাও হাঁটতে যান, তারা এ বিষয়টা নিশ্চয়ই উপলব্ধি করেছেন যে গাছ, ফুল, পাখির ডাক, হাওয়া সত্যিই মন ভালো করে দেয়। রোজ সম্ভব না হলেও অন্তত সপ্তাহান্তে এই রুটিনটা ট্রাই করে দেখতে পারেন।
মেডিটেশন করুন
স্ট্রেস কমাতে যে মেডিটেশনের কোনও বিকল্প নেই, সে বিষয়টি পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে। তাই রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে দশটা মিনিট চোখ বন্ধ করে, পিঠ সোজা করে বসে কাটান। হালকা কোনও মিউজ়িক শুনতে পারেন এই সময়ে। সেই সঙ্গে দীর্ঘ শ্বাস নিন। যত বেশি অক্সিজেন ব্রেন পর্যন্ত পৌঁছবে, তত ভালো থাকবেন।