Spread the love

আজকের দিনে বাচ্চাদের পছন্দের তালিকায় জাঙ্ক ফুড এক নম্বরে। যেকোনও ফল বা স্বাস্থ্যকর খাবার দেখলে টেবিল ছেড়ে দৌড়, আর চিপস, চকলেট, বার্গার, পিৎসার নাম শুনলে চোখে মুখে উচ্ছ্বাস তাদের। তবে এসবের কারণে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ে বয়ই কমে না। আবার বারণ করলে হয় হিতে বিপরীত। তবে উপায়! চিন্তা নেই আজ বলবো কীভাবে কোনোরকম বকাবকি ছাড়া বাচ্চাদের জাঙ্ক ফুডের নেশা ছাড়িয়ে ফিরিয়ে আনবেন সুস্থ জীবনে…

বিকল্প তৈরি করুনঃ যে কোনও বাচ্চা অস্বাস্থ্যকর জাঙ্ক ফুডের প্রতি  আকর্ষিত হওয়ার কারণ, সাজানো গছানো আকর্ষণীয় ভাবে পরিবেশনের  জন্য।

  • তাই আপনিও বাড়িতে তৈরি স্বাস্থ্যকর স্যান্ডউইচকে দোকানে তৈরি বার্গারের মতো সাজিয়ে বাচ্চাকে দিন।
  • পিৎসার বদলে আটা বা ময়দার তৈরি রুটির মধ্যে, চিকেনের টুকরো, পেঁয়াজ, চিজ সহযোগে পরিবেশন করুন।
  • কোলড্রিংকসের বদলে ঠাণ্ডা ফলের সরবত দিন।
  • যদি দুধ না খেতে চায়, দুধ ও দইয়ের সংমিশ্রণে সরবত বানিয়ে দিন।
  • আলুর চিপসের বদলে বেক করা ভেজ চিপস দিন।
  • আইস ক্রিমের বদলে দইয়ের ওপর নানান ড্রাইফ্রুট ছড়িয়ে খাওয়ান।

জাঙ্ক ফুড ফ্যাক্ট দিয়ে ক্যুইজ খেলুনঃ

  • বাচ্চাদের সঙ্গে ক্যুইজ খেলার মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর খাবার ও অস্বাস্থ্যকর খাবারকে চিহ্নিত করান।
  • যেমন বলুন ‘ চিপস খেলে কী বাড়তে পারে – শক্তি না মেদ’

রান্নার কাজে আগ্রহী করে তুলুনঃ

  • কোনোভাবে বাচ্চাকে আগুনের সামনে রান্না করতে দেবেন না।
  • রান্নার কাজের মধ্যে কাটা ফল বা সবজি বোলে ঢেলে স্যালাড বানাতে বলুন, অথবা কোনও ফল বা সবজি ধুয়ে দিতে বলুন।

সবজি বা ফল চিহ্নিত করতে শেখানঃ

  • সময় পেলে আপনার বাচ্চাকে বাজারে নিয়ে যান। নানা রকমের সবজিকে চেনান।
  • নিজের পছন্দ মতো রঙ বেরঙের সবজি বেছে নিতে বলুন।
  • দেখবেন এইভাবে শিশুর সবজি বা ফলের প্রতি ভালবাসা জান্মাবে।

ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তুলুনঃ

  • বাড়ির মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাবারের গুনাগুন নিয়ে আলোচনা করুন।
  • কোন খাবার কেমন খেতে, কোনটির স্বাদ ভালো, এই সমস্ত কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন, এতে শিশুর খাবারের প্রতি আগ্রহের সৃষ্টি হয়।

নিজেরা সচেতন হোনঃ সবার আগে নিজেরা সচেতন হোন, নিজেরা ভালো ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান, এতে আপনার বাচ্চারাও ভালো ও স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আগ্রহী হবে।

শিশুদের জাঙ্ক ফুডের প্রতি আসক্তি দূর করা কোনও এক দিনের কাজ নয়। বকাবকি না করে বরং সচেতনতার সঙ্গে বিকল্প পথ বেছে নিতে পারেন তাহলে সেই পথ ধরে ওদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবন দিতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts