ছিমছাম অথচ ভাবনাচিন্তা করে স্টাডি রুম সাজাতে হবে। ছোটদের জন্যই হোক বা বড়দের, পড়ার ঘর যেন হয় আকর্ষণীয়। রইল কিছু টিপস্-
১। পড়ার ঘর অবশ্যই খোলামেলা হতে হবে। উত্তর খোলা জানলা থাকলে তো কথাই নেই। নাহলেও অন্তত আলো-বাতাস খেলার জন্য একটি বড়সড় জানলা অবশ্যই রাখবেন।
২। জানলার পাশে ছোট ছোট ফুলের গাছ থাকলে ভাল, ঘরের শোভা বাড়বে। সকাল সকাল রোদ ঢুকলেই ঘর সুন্দর থাকবে। পড়তে বসে মন ভাল হয়ে যাবে।
৩। এলোমেলো করে বই ছড়িয়ে রাখা অনেকের অভ্যেস। এটা বাদ দিন। পড়ার পর বইটি রেখে দিন শেলফের নির্দিষ্ট তাকে। বইপত্র ছড়ানো ছেটানো থাকলে, ঘরে ঢুকতে মোটেই ইচ্ছে করবে না। গোছানো থাকলে মনে হবে, দু’দণ্ড বসি গিয়ে।
৪। নিয়মিত বুক শেলফের ধূলো ঝাড়ুন। তাতে ঘরের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন, নির্মল থাকবে। ধূলো জমতে থাকলে, ঘরের পরিবেশে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না।
৫। বাড়ি ছোট হলেও, সবচেয়ে নিরিবিলি জায়গা বেছে নিন পড়ার ঘর তৈরির জন্য। খোলামেলা অথচ কোণার দিকে হলে, ভাল।
৬। পড়ার নেশা তো আছেই। নতুন বই বেরোলেই কিনে ফেলেন কি? এদিকে বুক শেলফ ভর্তি। সেক্ষেত্রে দেওয়াল ঘেঁষা তাক বানিয়ে নিন। পরপর বই রাখলে ঘরের চেহারাও বদলে যাবে।
৭। পড়ার ঘর হতে হবে নিঃস্তব্ধ, তাতে মনসংযোগ ভাল হবে। আশেপাশে টেলিভিশন একেবারেই রাখবেন না।
৮। দিনের বেলা প্রকৃতির আলোয় আলোকিত হোক স্টাডি রুম। আর বিকেলের পর থেকে পড়াশোনার জন্য রাখতে পারেন হাই পাওয়ারের টেবিল ল্যাম্প।
৯। পড়ার টেবিলে বেশি জিনিসপত্র রাখবেন না। বই, খাতা, কলমদানির পাশাপাশি বরাবর থাকতে পারে একটা ছোট্ট ফুলদানি বা প্রিয় কারও ছবি, যা আপনাকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।