Spread the love

বাগানে সবচেয়ে কম যত্নে যেসব গাছ দিব্যি বেঁচে থাকে, তার মধ্যে স্নেক প্ল্যান্ট থাকবে প্রথম সারিতে। সার, কীটনাশক প্রয়োগের বাড়তি ঝামেলা নেই, শুধু মাঝেমধ্যে গাছটির ‘তেষ্টা’ মেটাতে জল দিলেই হলো। বাগানের উজ্জ্বল আলো থেকে শুরু করে ঘরের মৃদু আলো, বাগানের মাটি থেকে টব—এমনকি শুধু জলেও পালতে পারেন স্নেক প্ল্যান্ট। জেনে রাখুন, যে সাতটি কারণে স্নেক প্ল্যান্টকে আপনার ঘর কিংবা বাগানে রাখতে পারেন।

ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে

স্নেক প্ল্যান্টের সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এটি বাতাস নির্মল করে। বাতাসে মিশে থাকা ক্ষতিকর ফরমালডিহাইড, বেনজিন ও কার্বন ডাই–অক্সাইডকে দূরে রেখে ঘরে বিশুদ্ধ বাতাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করে।

সবচেয়ে কম রক্ষণাবেক্ষণের গাছ

আপনি যদি এমন কেউ হন, যিনি শখ করে আনা গাছ বাঁচিয়ে রাখতে হিমশিম খান; নিয়মিত জল দিতে কিংবা সময়ে সময়ে রোদে দিতে ভুলে যান, তাহলে স্নেক প্ল্যান্ট আপনার জন্য জুতসই। এই গাছ অল্প যত্নেই বাঁচে। অন্য গাছের মতো ঘন ঘন জল দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এমনকি শীতেও গাছটি বেড়ে ওঠে স্বাভাবিকভাবে।

মন রাখে প্রফুল্ল

চারপাশে যেকোনও গাছ থাকলেই তো মন ভালো হয়ে যায়। স্নেক প্ল্যান্টের সবুজও আপনাকে ভালো লাগার অনুভূতি দেবে, কমবে মানসিক চাপ। স্নেক প্ল্যান্ট রোপণ থেকে শুরু করে যত্ন নেওয়ার পুরো প্রক্রিয়াই আপনাকে মানসিকভাবে শান্ত–স্বাভাবিক থাকতে সাহায্য করবে।

ছোট জায়গায়ই যথেষ্ট

যাঁদের খুব বড় পরিসরে বাগান করার সুযোগ নেই, তাঁরাও স্নেক প্ল্যান্ট বেছে নিতে পারেন নিশ্চিন্তে। টবের অল্প ধারণক্ষমতার মাটিতেও ভালোই বেড়ে উঠতে পারে গাছটি।

দেখতে সুন্দর

স্নেক প্ল্যান্টের সবুজ, মসৃণ, লম্বা পাতা ঘরে আনে আধুনিকতা। সাপের মতোই পেঁচিয়ে ওঠা একেকটি মসৃণ গাঢ় ও হালকা সবুজের মিশেল পাতা যেন ক্যানভাসে আঁকা ছবি। কোনও প্রজাতি ছোট, কোনও প্রজাতি লম্বাটে, কোনও প্রজাতির আবার সবুজ রঙের বাইরে পাতার কিনারায় উজ্জ্বল হলুদ রং এর সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে বহু গুণে।

শুধু জলেও হয়

সর্বাধিক পরিচিত পথোস বা মানিপ্ল্যান্টের মতো স্নেক প্ল্যান্টও মাটি ছাড়া শুধু জলেই বেড়ে উঠতে পারে। শর্ত শুধু এই, সপ্তাহে অন্তত এক দিন পুরোনো জল বদলে নতুন জল দিতে হবে।

সহজেই বংশবিস্তার

মাটি বা টব—যেখানেই রোপণ করুন, আপনার যত্ন–আত্তিতে কদিনের মধ্যেই দেখতে পাবেন মূল মাতৃগাছের চারপাশের মাটি ফুঁড়ে ছোট ছোট চারা জন্মাচ্ছে। ছোট্ট এই চারা তুলে নিয়ে নতুন জায়গায় রোপণ করতে পারেন। আবার কেবল পাতা কেটে মাটিতে পুঁতে দিলেও তা থেকে গজিয়ে ওঠা নতুন চারার দেখা পাবেন একসময়। এতে অবশ্য একটু সময় বেশি লাগবে, তাতে কী! পাতা থেকেই চারা করে নেওয়ার আনন্দটাও ধরা দেবে তখন আপনার কাছে।

Related Posts