Spread the love

আম খেতে কে না ভালোবাসে? কাঁচা হোক কিংবা পাকা –আম সবারই প্রিয়। গ্রীষ্মের এই ফলের রাজা শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। কিন্তু জানেন কি, অতিরিক্ত আম খাওয়া শরীরের ক্ষতিও করতে পারে। চলুন জেনে নিই, আমের উপকারিতা ও অপকারিতা – দুই দিকই।

উপকারিতাঃ

১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি – আমে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

২। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে – আমে থাকা ভিটামিন-A দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং চোখের চারপাশের শুষ্কভাব দূর করে।

৩। হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ গ্রীষ্মকালে আম শরীরকে ঠান্ডা রাখে ও হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।

৪। ক্যান্সার প্রতিরোধ – আমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলন, স্তন, প্রস্টেট, লিউকেমিয়া ইত্যাদি ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৫। লিভারের যত্নে – আম লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায় ও টক্সিন পরিষ্কার করে।

৬। রক্ত বিশুদ্ধ করে – আম রক্ত পরিশোধনে সাহায্য করে।

৭। ইমিউন বুস্টার – এতে থাকা ভিটামিন-C সর্দি-কাশি ও সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

অপকারিতাঃ

১। রক্তে চিনি বাড়ায় – আমে প্রাকৃতিক চিনি (ফ্রুক্টোজ) বেশি থাকে। অতিরিক্ত আম খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।

২। ওজন বৃদ্ধি করে – বেশি আম খেলে অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে জমে ওজন বাড়াতে পারে। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য এটি সমস্যা তৈরি করতে পারে।

৩। অম্বল ও গ্যাসের সমস্যা – খালি পেটে বা খাওয়ার পেটে অতিরিক্ত আম খেলে পেটে গ্যাস, অম্বল বদহজমের সমস্যা হতে পারে।

৪। অ্যালার্জির সমস্যা – কিছু মানুষের ক্ষেত্রে আম খাওয়ার পর ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি বা গলা চুলকানো হতে পারে, যাঅ্যালার্জির লক্ষণ।

৫। রাতে খাওয়া উচিত নয় – রাতে আম খেলে হজমের সমস্যা, ঘুমের ব্যাঘাত ও পেটের অস্বস্তি হতে পারে।

৬। রাসায়নিকযুক্ত আমের ক্ষতি – অনেক সময় বাজারে বিক্রি হওয়া আম কৃত্রিমভাবে কার্বাইড দিয়ে পাকানো হয়, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর –বিশেষ করে লিভার ও কিডনির জন্য।

আম খাওয়ার অনেক উপকারিতা থাকলেও, অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই পরিমাণ মেনে এবং সতর্কভাবে আম উপভোগ করুন। যাতে এটি স্বাদ নয়, স্বাস্থ্যও বাড়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts