চিলেকোঠার একলা দুপুরেই হোক, বা পুজোর দিনে প্রসাদের থালায়, বাঙালির সঙ্গে পেয়ারার সম্পর্ক বহু প্রাচীন। শুধু বাঙালিদের মধ্যেই নয়, পেয়ারা ব্যাপক জনপ্রিয় গোটা এশিয়া মহাদেশেই। তবে পছন্দের হলেও প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার রেওয়াজ খুব একটা নেই বললেই চলে। সুস্বাদু এই ফলের নানা গুণের জন্য চিকিৎসকরাও আজকাল প্রচুর পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
১. চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবিটিস প্রতিরোধে পেয়ারার বিকল্প পাওয়া দুষ্কর। পেয়ারা পাতা রক্তচাপের সমস্যা কিংবা হৃদরোগকে কাছে ঘেঁষতে দেয় না।
২. পেয়ারায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ভিটামিন সি ও পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবেও কাজ করে। তাই নিয়মিত পেয়ারা খেলে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকিও কমে।
৩. পেয়ারায় ফাইবার বেশি থাকে, কিন্তু গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে পেয়ারা। শরীরের সোডিয়াম, পটাশিয়াম ব্যালেন্স ঠিক রেখে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্ট থাকে সুস্থ।
৪. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে রোজ একটা করে পেয়ারা খেলে উপকার পাবেন। পেট ভাল রাখতেও পেয়ারা গুরুত্বপূর্ণ। এতে রয়েছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রপার্টিস, যা ডায়রিয়াতে ম্যাজিকের মতো কাজ দেয়।
৫. দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে পেয়ারা অব্যর্থ।
৬. পেয়ারায় থাকা ভিটামিন বি নাইন ও ফোলিক অ্যাসিড গর্ভস্থ শিশুর স্নায়ুর বিকাশে সাহায্য করে, তাই গর্ভবতী অবস্থাতেও পেয়ারা খাওয়া ভাল।
৭. ভিটামিন সি ও আয়রন প্রচুর পরিমাণে থাকার কারণে ডাঁশা পেয়ারা গলা, ফুসফুসে জমে থাকা কফ সারাতে সাহায্য করে। পেয়ারার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণও অসাধারণ। ফলে জীবাণুর মোকাবিলা করে দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে পেয়ারা। ফোলা মাড়ি বা মুখের আলসারের ক্ষেত্রেও পেয়ারা উপকারী।
৮. পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন বি থ্রি ও বি সিক্স, যা মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে মস্তিষ্ক সচল থাকে।
৯. অনেক গুণের মধ্যে পেশির শিথিলতা বাড়িয়ে রিল্যাক্স করতেও সাহায্য করে পেয়ারা। শরীরচর্চা বা কাজের পর পেয়ারা খেলে তাই স্ট্রেস দূর হবে সহজে।
১০. পেয়ারা হজম ক্ষমতা যেমন বাড়ায় তেমনই এতে গ্লুকোজের পরিমাণও কম থাকে। ফলে ওজন কমাতেও সাহায্য করে পেয়ারা।