শীতকাল বললেই, অনেকগুলো ভালো জিনিস আমাদের মনে আসে। খেজুর গুড় খাওয়া, বেড়াতে যাওয়া, পিকনিক করা, গরম গরম পিঠে-পুলি খাওয়া, ঘুড়ি ওড়ানো। বাজারেও দেখা যায় কত রকমারি সবজি আর ফল।
তবে, এতকিছু ভালোর মধ্যেও শীতকাল এলেই স্কিন ড্রাই হয়ে যায়, চুল রুক্ষ হয়ে যায়, গোড়ালি ফাটে। আর, শীত যে জাঁকিয়ে পড়তে শুরু করেছে, সেটা বোঝা যায় ঠোঁট ফাটা দেখেই। আমাদের শরীরের সবচেয়ে নরম অংশ হল ঠোঁট। তাই, শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি, সমান নজর দেওয়া প্রয়োজন ঠোঁটের প্রতিও। রইলো কিছু টিপস্-
- অনেকেরই ঠোঁট কামড়ানোর অভ্যাস আছে। আবার অনেকেই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজায়। এতে কিছুক্ষণের জন্য ঠোঁট ভিজলেও, আবার শুকিয়ে যায়। কারণ, আমদের লালায় এক ধরনের এনজাইম আছে, যা ঠোঁটকে আরও ড্রাই করে দেয়। তাই, ঠোঁট কামড়ানো বা জিভ বুলানো এগুলো বাদ দিতে হবে।
- এছাড়া ঠোঁটের নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন প্রয়োজন। স্ক্রাবিং করলে ঠোঁটের মড়া চামড়াগুলো বিতাড়িত হয় আর ঠোঁট রুক্ষ দেখায় না। এর জন্য মধু আর চিনির স্ক্রাব বানিয়ে সপ্তাহে এক থেকে দু’বার বাড়িতেই ঠোঁটে স্ক্রাব করুন।
- অল্প দুধ নিন। তার মধ্যে কয়েকটা গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে রাখুন। ৩ ঘণ্টা ওভাবেই রেখে দিন। তারপর সেই মিশ্রণটা দিনে অন্তত ২-৩ বার ঠোঁটে লাগাতে হবে। এতে ঠোঁট নরম থাকবে আর সহজে ফাটবে না।
- এছাড়া লিপবাম বা লিপজেলি ব্যবহার করতে হবে, বিশেষ করে রাতে বাম লাগাতেই হবে। তবে বাম কেনার সময় দেখে নেবেন, ওতে শিয়া বাটার, মধু, এসেনশিয়াল অয়েল বা গ্লিসারিনের মতো উপাদান রয়েছে কি না। কারণ, এই উপাদানগুলো ঠোঁটকে নরম রাখতে সাহায্য করে। ঠোঁট ফাটে না।
- আপনার শরীর এবং ঠোঁট হাইড্রেটেড রাখতে সারা দিন প্রচুর পরিমাণে জল খান। শীতকালীন ফল এবং শাকসবজি খেতে ভুলবেন না, কারণ এগুলিতে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আপনার ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্ট করে।
আমরা সবাই চাই, আমাদের ঠোঁট সুন্দর হোক, নরম হোক। কিন্তু শীতকালে সেটা সম্ভব হয় না। তবে, এইভাবে যদি যত্ন নেওয়া যায়, তাহলে এই শীতেও ঠোঁট ফাটবে না আর নরম থাকবে, সুন্দর থাকবে।