সময় ও ধৈর্যের অভাবে আলাদাভাবে ত্বকের পরিচর্যা করা হয়ে ওঠে না। পাঁচরকমের জিনিস মিশিয়ে প্যাক বানাতে অনেকেরই ধৈর্য থাকে না, আবার সব জিনিস হাতের কাছে পাওয়াও যায় না। কাজেই বাদ পড়ে যায় ত্বকের পুষ্টি। কিন্তু কেমন হয়, যদি একটি মাত্র উপাদান দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন মুশকিল আসান প্যাক?
অনেকেই পাকা পেঁপে খেতে ভালোবাসেন। শুধু কয়েকটা টুকরো নিয়ে নিন মুখে মাখার জন্য। আপনার ত্বকের একাধিক সমস্যার সমাধান করবে পাকা পেঁপে।
গায়ের রং উজ্জ্বল করতে
পাকা পেঁপে নিন। পেঁপেটা চটকে নিন, আধকাপ মতো পরিমাণ হবে। তাতে একটা গোটা পাতিলেবুর নিংড়ে ভালো করে ঘেঁটে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ পুরো মুখে, গলায়, হাতে মেখে আধঘণ্টা রাখুন, তার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলবেন।
গোড়ালির ফাটাভাব কমাতে
শীতকালে গোড়ালির চামড়া ফেটে বিশ্রীভাবে ফেটে যায়। এর জন্য পেঁপে চটকে নিয়ে গোড়ালির ফাটা জায়গাগুলোয় লাগান। কুড়ি মিনিট রেখে হালকা গরমজলে ধুয়ে নিন। গোড়ালির ফাটা, শুকনো চামড়া, চুলকানি বা লালচেভাব, সবই কমে যাবে।
দাগছোপের উপশমে
মুখে ব্রণর দাগ থেকে শুরু করে হাঁটু বা কনুইয়ের কালচে ভাব, সবই কমাতে পারে পেঁপে। তবে তার জন্য দরকার কাঁচা পেঁপে। ব্লেন্ডারে দিয়ে পেঁপের টুকরোটা থেঁতো করে নিন, তাতে একচাচামচ পাতিলেবুর রস মেশান। এবার এই মিশ্রণটা লেপে দিন কনুই আর হাঁটুতে। ব্রণর দাগের উপরেও লাগাতে পারেন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত কয়েকবার করলে দাগ হালকা হতে শুরু করবে।
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে
পেঁপের আলফা হাইড্রক্সিল অ্যাসিড মুখে বয়সের দাগছোপ পড়তে দেয় না, কাছেই ঘেঁষতে দেয় না ত্বকের সূক্ষ্ম রেখা ও বলিরেখাকে। পাশাপাশি পেঁপের ভিটামিন ই আর সি ত্বক তরতাজা করে তোলে। পাকা পেঁপে আধকাপ চটকে তাতে এক টেবিলচামচ দুধ আর অল্প মধু মিশিয়ে মুখে গলায় লাগিয়ে নিন। কুড়ি মিনিট মতো রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করলে ম্যাজিকের মতো ফল পাবেন।