বাঙালির কাছে আবেগের অপর নাম পয়লা বৈশাখ। আর নববর্ষ মানেই তো নতুন পথ চলার শুরু। এই উৎসব বাঙালির কাছে শুধু নতুন বছর নয়। পয়লা বৈশাখ মানে নতুন জামা, নতুন স্বপ্নে জড়ানো অন্য বসন্ত। নতুন বছরের এই প্রথম দিনটা যত্ন করে রেখে দিন ডায়েরিতে রাখা গোলাপের মতো। নিজের প্রিয়জনদের সঙ্গে প্রাণভরে উপভোগ করুন আপনার এই মূল্যবান দিনটা।

যে কোনও উৎসব মানেই বাঙালির কাছে খাওয়া-দাওয়া, ঘুরতে যাওয়া আর অমলিন আনন্দে ভেসে যাওয়া। ফার্স্ট জানুয়ারি নিয়ে যতই বেশি মাতামাতি হোক না কেন, পয়লা বৈশাখের আবেগ অনুভূতিকে তা কখনোই ছাপিয়ে যেতে পারবে না। তাই এই বিষয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই যে, বাঙালি- দুর্গাপুজো নিয়ে যতটা উৎসাহী, পয়লা বৈশাখ নিয়েও ততটাই আবেগপ্রবণ।
- পয়লা বৈশাখের আগে বিভিন্ন দোকানে ও শপিং মলে সেল শুরু হয়। প্রচুর মানুষ ভিড় জমায়। চারিদিকে দুর্গাপুজোর একটা রেশ মিশে থাকে।
- পয়লা বৈশাখের দিন বেশিরভাগ মানুষ নতুন জামা পরে ঘুরতে যায়। রেস্তোরাঁ থেকে বাঙালি থালি সহ রকমারি খাবার খায়।
- অনেকেই ছুটির এই দিনটা বাইরে সময় না কাটিয়ে বাড়িতেই পরিবারের সঙ্গে ভুরিভোজ করে উপভোগ করেন।
- বিভিন্ন জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও পয়লা বৈশাখ পালন করা হয়। নাচ, গান, আবৃত্তি-এর মধ্যে দিয়ে বাঙালির শৈল্পিক আবেগ মিশে যায় নববর্ষের সাত রঙে।
- বাংলার ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন হিসাবে বাঙালিরা নানাভাবে দিনটি উদযাপন করে। এই দিনে গ্রামাঞ্চলে অনেক ঘরে ঘরে ফসল কাটা হয় এবং আনন্দ ভক্তির সঙ্গে তারা দিনটাকে উপভোগ করে।
- ব্যবসায়ীদের কাছে পয়লা বৈশাখ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিশেষ দিনে তারা ব্যবসার মঙ্গল কামনার্থে নতুন করে হিসাবের খাতা খোলেন। এটাই হালখাতা নামে পরিচিত।
- হালখাতার পাশাপাশি দোকানে দোকানে মিষ্টি, ঠাণ্ডা পানীয় সহ ক্যালেন্ডার বিতরণের রীতিও জড়িয়ে আছে।
- নববর্ষের দিন সবাই একে অপরকে শুভেচ্ছা বার্তা জানায়, যা বাঙালির মনে আবেগের ধারাকে বয়ে নিয়ে আসে।

নতুন বছরের প্রথম দিনটা এইভাবে বাঙালির আবেগ অনুভূতির সঙ্গে মিশে থাকে। বাঙালির কাছে পয়লা বৈশাখ এক আবেগঘন মুহূর্তের চাবিকাঠি। সবমিলিয়ে এ যেন এক পুজো পুজো রব, উৎসবের কলরব।