Spread the love

আপনার বাড়ি সেজে উঠবে বট, অশ্বত্থ, পাকুড় গাছের সমারোহে। না, বাগানবাড়ির কথা বলছি না। আপনার ছোট ফ্ল্যাটেও জায়গা হতে পারে এই সব মহীরুহের। শুনতে অলীক লাগলেও এটা সম্ভব, বনসাই পদ্ধতিতে করা গাছের মাধ্যমে। আমরা বনসাই বলতে বুঝি, বড় গাছের মিনিয়েচার। বাড়িতে কীভাবে বনসাই লালন করবেন, দেখে নিন।

গাছ বাছাই

যে কোনও ভাল নার্সারি থেকে পছন্দসই বনসাই কিনতে পারেন। কিন্তু সময় ও ধৈর্য থাকলে নিজে হাতেও তৈরি করে ফেলতে পারেন বনসাই। বনসাইয়ের জন্য আদর্শ কলমের চারা। আর খেয়াল রাখবেন, মাটি বা সেরামিকের টব যেন দেখতে সুন্দর হয়। কারণ বনসাই করার প্রধান উদ্দেশ্য তাকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলা। তাই প্লাস্টিকের টব নৈব নৈব চ।

মাটি

বনসাইয়ের জন্য পলি বা দোআঁশ মাটিতে জৈব সার মিশিয়ে নিন। জৈব সারের মধ্যে সমপরিমাণ ইটগুঁড়ো, হাড়গুঁড়ো, গোবর সার, কম্পোস্ট সার মিশিয়ে সার তৈরি করতে হবে। অনেকে রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন। কিন্তু এই সার বনসাইয়ের দীর্ঘ জীবনের পক্ষে ভাল নয়। আর মাটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে জল নিষ্কাশন ভালো হয়।

জল

বনসাই গাছের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো জল দেওয়া। একটি বনসাই গাছে কী পরিমাণে এবং কীভাবে জল দিতে হবে, তা গাছের প্রজাতি, আকার ও আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন মাটি শুকিয়ে সাদা না হয়ে যায়। মাটি যখন সামান্য শুকনো হয়ে যাবে, তখনই জল দিতে হবে।

তাপমাত্রা

বনসাই কখনই ইনডোর প্ল্যান্ট না। বনসাই বারান্দায় রাখা যেতে পারে, যেখানে দিনের অনেকটা সময় রোদ আসে। অথবা ছাদে অন্য গাছের সঙ্গে রাখতে হবে। কড়া রোদে বনসাই পুড়ে যেতে পারে। তবে মাঝেমধ্যে কিছু সময়ের জন্য ঘরের ভেতর এনে রাখতে পারেন।

জায়গা পরিবর্তন

পুরনো এবং পরিণত গাছকে ৩ থেকে ৫ বছর অন্তর অন্য পাত্রে প্রতিস্থাপন করতে পারেন। পাত্রে প্রতিস্থাপন করার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই, তবে বসন্তের শুরুতেই এ কাজটি করতে পারেন। টব পরিবর্তন করতে না চাইলে টবের ধার ঘেঁষে কিছু মাটি তুলে ফেলে, সেখানে জৈব সার দিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts