ব্যস্ততম জীবনে আমাদের জামাকাপড় পরিষ্কার রাখার মতো কঠিন দায়িত্ব যে নেয়, আমদেরও তো উচিৎ তার যত্ন-আত্তির দিকেও খেয়াল রাখা। ওয়াশিং মেশিন না থাকলে আজকের ব্যস্ত গৃহিণীর চলবেই না। কিন্তু যত্নের অভাবে আচমকা যদি আপনার সাধের মেশিনটি মুখ ফিরিয়ে বসে, তা হলে কী করবেন? তার থেকে বরং আজ থেকেই যত্ন নিতে শুরু করুন ওয়াশিং মেশিনের।
- ওয়াশিং মেশিনে খুব ঠেসে-ঠেসে জামাকাপড় ঢোকাবেন না। খেয়াল রাখবেন, মেশিন যেন ওভারলোড না হয়। ওভারলোড হয়ে গেলে কিন্তু মেশিনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া কাচার সময়ে জামাকাপড়ের পরিমাণ অনুযায়ী ডিটারজেন্ট দিন। অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট দিলে নানারকম সমস্যা হতে পারে।
- কয়েকদিন ধরেই দেখলেন কাচতে দিলেই মেশিনটা গোলমাল করছে, অন করলেই নানা অদ্ভুত আওয়াজ হচ্ছে। এটা নিয়ে কিন্তু দিনের পর দিন মেশিন ব্যবহার করবেন না। তাড়াতাড়িই কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে মেশিন দেখানোর ও সারানোর ব্যবস্থা করুন।
- কাচতে দেওয়ার আগে কী কাচবেন, তা দেখে নিন। মেশিনে অনেক সময়েই বিশেষ-বিশেষ ফ্যাব্রিকের জামাকাপড় কাচতে নানারকম মোড থাকে। সেগুলো দেখে সেই অনুযায়ী মেশিন ব্যবহার করুন। রবারযুক্ত জিনিসপত্র ও কার্পেট কাচতে দেবেন না।
- প্রত্যেকবার ব্যবহার করার পর ভাল করে দেখে নেবেন মেশিনের ভিতরে বিভিন্ন অংশে মরচে পড়েছে কিনা। মরচে পড়ে থাকলে দু’কাপ পাতিলেবুর রস মেশিনে দিয়ে গরম জলে মেশিন একবার চালিয়ে নিন, তাতেও যদি দেখেন মরচে যাচ্ছে না, তা হলে সেই অংশটি পালটে নেওয়াই ভাল।
- প্রত্যেকবার ব্যবহার করার পর মেশিনের ভিতরে ডিটারজেন্ট জমে থাকে যা আপনার মেশিনের ওয়াশারকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাছাড়া কাপড়ের সুতো বা ময়লা জমে পাইপ ও হোস বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই ওয়াশিং মেশিনের ভিতর সম্ভব হলে রোজ পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন। এর জন্য আপনি জলে গুলে ভিনিগার, বেকিং সোডা বা ব্লিচিং পাওডারের মতো যে-কোনও ক্লেনজ়িং উপাদার ব্যবহার করতে পারেন।