এখনও পুরোপুরি শীত না পড়লেও ঠান্ডার একটা আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। ভ্যাপসা গরমের তুলনায় শীতের সময় অনেকটাই আরাম পোষ্যদের। তবে, শীতকালে যে তাদের শরীর খারাপ হয় না, তেমনটা কিন্তু নয়। শীতের সময় আদুরে পোষ্যটি সিজনাল ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডারে ভুগতে পারে। পোষ্যেরা কথা বলতে পারে না। ওদের প্রতিরোধ ক্ষমতাও মানুষের থেকে কম। ফলে যে কোনও রোগ জাঁকিয়ে বসে পোষ্যের শরীরে। তাই যত্ন নিন ওদের।
খাওয়াদাওয়ায় নজর দিন
শীতকালীন রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা জোগাবে যে খাবারগুলো, সেগুলোই বেশি করে খাওয়ান পোষ্যকে। যাতে জ্বর, ঠান্ডা লাগার মতো শারীরিক সমস্যাগুলো পোষ্যকে ছুঁতে না পারে। দরকার হলে পোষ্যের খাওয়াদাওয়ার বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
শারীরিক ভাবে সক্রিয় রাখুন
এমনিতেই পোষ্যরা সারা বাড়ি দৌঁড়ে বেড়ায়। তবে শীতের সময়ে পোষ্যকে বাড়তি সক্রিয় রাখা জরুরি। ছোট ছোট খেলায় উৎসাহ দিলে সেও যথেষ্ট সক্রিয় থাকে। এতে অবসাদের আশঙ্কাও অনেকটা কমে যায়। সময় পেলে মাঠে নিয়ে যান। খুব ভালো হয় সকালে রোদ উঠলে তখন হাঁটাতে নিয়ে যান। রোদের সংস্পর্শে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে পোষ্যের।
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ানো
শীতের মরসুমে পোষ্যেরা জল খাওয়া কমিয়ে দেয়। সে দিকে বাড়তি নজর দিন। যত বেশি জল খাওয়াবেন, রোগবালাই থেকে তত দূরে থাকবে পোষ্য। জল কম খেলেই নানা রোগবালাই বাসা বাঁধবে শরীরে। সেই ঝুঁকি এড়াতে পোষ্য বেশি জল খাচ্ছে কি না, সে দিকে নজর রাখুন।
পশুচিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন
পোষ্যকে সারাবছর যে চিকিৎসক দেখেন, শীত আসার আগে পোষ্যকে নিয়ে একবার তার কাছে যান। শীত পড়ার আগে শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। তা ছাড়া, শীতকাল মানেই পোষ্যদের নানা রোগবালাইয়ের ঝুঁকি বাড়ে। পোষ্যকে সুরক্ষিত রাখতে একটা ডায়েট চার্টও বানিয়ে নিন।