পুজোর জন্য শুধু নিজেকে নয়, সাজিয়ে তুলুন আপনার ঘরকেও। এবার উৎসবের আমেজ পুরোদমে উপভোগ করতে অন্দরেও চাই নতুনত্বের ছোঁয়া। এ কথা মাথায় রেখে আপনার বাড়ি থেকেই না হয় শুরু করা হোক উৎসবের আবাহন। এর জন্য রইলো কিছু টিপস্।
সবার আগে ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভাঙা, নোংরা, তেলচিটে জিনিস সরিয়ে ফেলুন। পারলে নতুন দু-একটি জিনিস আনুন, নাহলে ফাঁকাও রাখতে পারেন। ঘরের লুক পাল্টাতে জিনিসের জায়গা অদল-বদল করুন। ঘরের একটা জিনিস সরালেই দেখবেন বাকিগুলোর জায়গাতেও ঠিক পরিবর্তন এসে গেছে।
ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে পারে পর্দাও। তাই পুজোর আগে অবশ্যই পর্দা বদলে ফেলুন। সম্ভব হলে একেবারেই ধবধবে সাদা জর্জেটের বা নেটের পর্দা লাগান। সাদা প্রশান্তি ও স্নিগ্ধতার প্রতীক। তবে দেওয়ালের রঙ হালকা হলে সাদার উপর প্রিন্টেড বা কালারিং পর্দাও লাগাতে পারেন। যেমন- লাল, মেরুন, নীল, হলুদ ইত্যাদি। এতে চোখের আরাম হবে।
ঘরের প্রতিটি কোণে ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন আপনি। শোবার ঘরে ডিপ রঙের ব্লক করা বা অ্যাপ্লিকের বেডশিট বিছিয়ে দিতে পারেন। ট্র্যাডিশনাল সাজের জন্য চারপাশে নেটের লেস দেওয়া বেডশিট-বালিশের কভারও ব্যবহার করতে পারেন। ড্রইংরুমে ডিভান থাকলে তার কুশন কভারগুলো বদলে ফেলুন। বদলে ফেলুন সোফার কভার। ঘরের কোণে ছোট টুলে বা পাশের করিডরে পাথর, কাঁসা, পিতল বা মাটির মূর্তি রাখতে পারেন। এতে পুজোর সময়ে ঘরে মন্দিরের একটা আবহও তৈরি হবে।
দুর্গা পুজোর আরও একটি অনুষঙ্গ হলো আলোকসজ্জা। ঘরে উৎসবের আলো জ্বালাতে মাটি বা কাঁসার প্রদীপ কিংবা হাল আমলের ফেয়ারি লাইটসের শরণাপন্ন হতে পারেন। সেন্টার টেবিলের নিচে, কলামের নিচে, বসার ঘরের সেন্টার টেবিলের নিচে মাটির অথবা কাঁসার থালার ওপর গোল করে প্রদীপ সাজিয়ে রেখে দিতে পারেন।
রান্নাঘরের তেল চিটচিটে ভাব সরাতে হবে। এর জন্য জলের সঙ্গে লেবু ও ভিনিগার মিশিয়ে নিন। স্প্রে বোতলে ভরে স্প্রে করে মুছে দিন। গন্ধ ও তেল চিটচিটে ভাব অনেকটাই কমে যাবে। রান্নাঘরের মেঝে টাইলসের হলে ময়লা পরিচ্ছন্ন করার জন্যও এই লিকুইড ক্লিনার ব্যবহার করুন, দেখবেন কেমন ঝকঝক করছে।
বাড়ির আসবাবপত্রের সঙ্গে মিলিয়ে ছোট, বড় বা মাঝারি আকারের ফুলদানি রাখতে পারেন। নানা রঙের ফুল রাখতে ইচ্ছে হলে একরঙা ফুলদানি ব্যবহার করুন। পুজোয় বাড়ির ভিতরের ঘর ফুলের চেন দিয়ে সাজাতে পারেন। চাইলে বাড়ির সদর দরজার সামনে নানা রঙের ফুলের ঝালরও লাগাতে পারেন।