Spread the love

নান্দনিক শরীরী বিভঙ্গ যে আপনাকে ফিট থাকতে সাহায্য করবে, তা নিঃসন্দেহ।

যোগাসনের সঙ্গে নৃত্যশৈলীর মেলবন্ধন। সংক্ষেপে এটাই হল লিরিক্যাল যোগাসনের মূল কথা। নান্দনিক শরীরী বিভঙ্গ যে আপনাকে ফিট থাকতে সাহায্য করবে, তা নিঃসন্দেহ। একইসঙ্গে যদি ‘আসন’-এর সুফলটুকুও পাওয়া যায়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। একঘেয়ে যোগাসনের বদলে একটু ছন্দবদল। আর তাতেই বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে এই বিশেষ ফর্ম। তবে নৃত্যনির্ভর যোগাসন হলেও নাচ যে জানতেই হবে, তেমনটা নয় মোটেও। এই যোগাসনের মূল ভিত্তি হল ‘বিন্যাস’। এটি একধরনের সমকালীন যোগাসন স্টাইল। বিন্যাস যোগাসনের ‘ফ্লো’ আর নাচের ‘ফ্লুইডিটি’—দু’টোই আছে এই বিশেষ ধরনের টেকনিকে। যে কোনও যোগাসনের শুরুর দিকে অনেকেই একটু আড়ষ্ট, জড়সড়ো হয়ে থাকেন। এই বিশেষ টেকনিকের মাধ্যমে সেই আড়ষ্টতা কাটিয়ে শরীরকে স্বাধীনভাবে মেলে ধরতে পারবেন।

যেহেতু নাচের ভঙ্গিমা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, তাই বডি মুভমেন্টের সঙ্গে সঙ্গে ব্রিদিং টেকনিকের উপরেও জোর দেওয়া হয়। সুললিত ভঙ্গিমায় একটি পশ্চার থেকে আর একটি পশ্চারে চলে যেতে পারবেন। অনেকে একে মুভিং মেডিটেশনও বলেন। শরীরকে সহজ ও স্বাভাবিকভাবে ‘মুভ’ করতে সাহায্য করে এই যোগাসন। আমাদের প্রত্যেকের শরীরেই জন্মগত স্বাভাবিক ছন্দ আছে। লিরিক্যাল যোগাসনের মাধ্যমে নিজেদের শরীরের অন্তর্নিহিত ছন্দ বা ‘ফ্লো অফ ইয়োর বডি’ খুঁজে পাওয়া সম্ভব। শরীরের মাইক্রো মুভমেন্টগুলোর উপরে জোর দেওয়া হয় এতে। প্রত্যেক মানুষের শারীরিক সক্ষমতার মাত্রা আলাদা হয়। এই যোগাসনের মাধ্যমে আপনি কিন্তু বুঝতে পারবেন আপনার শরীরের খামতিগুলো ঠিক কোথায়। শারীরিক শক্তি, নমনীয়তা, ভারসাম্য, সহনশক্তি ও কো-অর্ডিনেশন বাড়াতে এটি খুবই কার্যকর। শরীর-মন আর শ্বাসপ্রশ্বাস, তিনটের মধ্যে সঠিক সেতুবন্ধন তৈরি করে এটি। ফলে, একদিকে যেমন শারীরিক সুস্থতা সম্ভব, তেমনই মনকে শান্ত রাখতেও লিরিক্যাল যোগাসন শিখতেই পারেন।

Related Posts