অনেকেই নিজেদের চুল নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালবাসেন। হেয়ার কালার করা, নানারকম হেয়ার স্টাইল করা, বিভিন্ন স্টাইলে চুল কাটা ইত্যাদি অনেক কিছু করেন। কিন্তু এসবের মধ্যে কখনও ভেবেছেন কি আপনার চুল কতটা ভাল আছে?
- স্ক্যাল্পের যত্নঃ চুলের যত্ন করতে গিয়ে আমরা প্রায়শই উপেক্ষা করে ফেলি স্ক্যাল্পকে। কিন্তু চুল ভালো থাকার ক্ষেত্রে মাথার স্ক্যাল্পেরও একটা ভূমিকা রয়েছে। তাই আপনি আপনার স্কিনের যেভাবে যত্ন করেন, সেভাবেই মাথার স্ক্যাল্পেরও যত্ন নিন। সঠিক যত্ন এবং পুষ্টির জন্য আমাদের মাথার স্ক্যাল্পের প্রয়োজনগুলি শনাক্ত করতে হবে। বেশিরভাগ মানুষ মনে করে যে স্ক্যাল্পের যত্ন চুলের তেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এটা সঠিক নয়। চুলের জন্য তেল দুর্দান্ত, তবে স্ক্যাল্পের জন্য প্রতিদিন সিরাম ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি স্ক্যাল্পকে পুষ্টি দেয় আর চুলও সুন্দর করে।
- হাইড্রেশনঃ চুলের ধরন বা স্ক্যাল্পের ধরন যাই হোক না কেন, হাইড্রেশন আবশ্যক। এবং এমন অনেক উপায় রয়েছে, যাতে আমরা আমাদের স্ক্যাল্পকে এবং চুলকে হাইড্রেশন দিতে পারি। চুলের কন্ডিশনার এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়, এমনকি অয়েলি স্ক্যাল্পের জন্যও নয়। বেশিরভাগ মানুষ অভ্যাসবশত বা সময়ের অভাবে এটিকে স্কিপ করে থাকে। আপনার যদি কম সময় থাকে, তাহলে কো-ওয়াশ বেছে নিন, কিন্তু চুলের কন্ডিশনিং এড়িয়ে যাবেন না। কারণ কম হাইড্রেটেড চুল স্ক্যাল্পকে ড্রাই করে দেয়, এর ফলে খুশকিও হয়।
- আপনার চুলের কী প্রয়োজন তা জানুনঃ আপনার চুলের ধরন আর প্রয়োজন বুঝুন এবং সেই অনুযায়ী হেয়ার প্রোডাক্ট বেছে নিন। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই পুরো বাড়ির সবার জন্য একই শ্যাম্পু ব্যবহার করি। কিন্তু এটা ভুল। সবার নিজের স্ক্যাল্প টাইপ অনুসারে প্রোডাক্ট কিনতে হবে।
- ডায়েট এবং সুস্থতাঃ ভিটামিন, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার শুধু আপনার শরীরের জন্যই নয়, আপনার চুলের জন্যও ভালো। বিভিন্ন ফলমূল, পালং শাক, পেঁয়াজ, গাজর, রসুন, টমেটো, বিটরুট, মিষ্টি আলু, ফ্রেঞ্চ বিনস, কমলা শাকসবজি, সবুজ মরিচ এবং শাক-সবজি চুলকে হেলদি করতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। এছাড়া আপনার সামগ্রিক সুস্থতা আর স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, চুলের যত্নে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
- আপনার চুল রক্ষা করুনঃ জানেন কি? হার্ড ওয়াটারের এক্সপোজার, পুলের জল, সূর্যের প্রখর রে, চরম তাপমাত্রা, বাইরের ধুলো- এই সবই আমাদের চুলের অনেক ক্ষতি করে। কিন্তু আমরা এসব নিয়ে কোনওদিন ভাবিনা। প্রখর রোদের কারণে চুল অনেকসময় তামাটে রঙের হয়ে যায়। অতিরিক্ত জলের ফ্লো-তে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যেতে পারে। বাইরের ধুলো বালি চুলকে ড্রাই করে দেয়। তাই এসবের থেকে আপনার চুলকে বাঁচান আর নিশ্চিত হোন যে, আপনার চুল সুরক্ষিত আর ভাল আছে।