বর্ষাকাল মানেই আকাশ ঘিরে ঘন কালো মেঘ, কখনও মেঘ ভাঙা রোদ্দুর, কখনও রিমঝিম ঘন ঘন রে। সব মিলিয়ে বর্ষাকাল আমাদের কাছে আসে নানা রঙ নিয়ে। ভাল লাগার সঙ্গে সঙ্গে বর্ষায় নানা উটকো ঝঞ্ঝাটও এসে জোটে মাথার উপর। এই ঝঞ্ঝাটের অন্যতম একটি হল ওয়াল ড্যাম্প। পুরনো বাড়ি এমনকি ফ্ল্যাটেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে কয়েকটি বিষয়ে একটু খেয়াল রাখলে বিরক্তিকর এই সমস্যা থেকে অচিরেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
কীভাবে বুঝবেন দেওয়ালে ড্যাম্প?
স্যাঁতস্যাঁতে ভাব, দেওয়ালে ছোপ ছোপ দাগ, জায়গায় জায়গায় দেওয়ালের উপরিভাগ ফেঁপে ওঠা এবং ঝরে পড়া। ঘরে ভ্যাপসা গন্ধ৷ মোটামুটি এই লক্ষণগুলিই চিনিয়ে দেবে আপনার বাড়িতে ড্যাম্প আছে কিনা। আর এই ড্যাম্প, আপনার বাড়িকে কমজোরি করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে। তাই তাড়াতাড়ি বাড়িকে ড্যাম্প মুক্ত করে তোলা প্রয়োজন। তার জন্য মেনে চলুন কয়েকটি সাধারণ নিয়ম।
- বাড়ি তৈরির সময় সজাগ থাকুন বিল্ডিং মেটিরিয়ালের ব্যাপারে। ড্যাম্পের মুখ্য কারণ এগুলিই। সম্ভব হলে আপনার বাড়িটি কোনও নির্ভরযোগ্য ‘ড্যাম্প প্রুফিং স্পেশালিস্ট’-কে দেখিয়ে নিন। বাজারে ‘ড্যাম্প ডিটেক্টর’-ও পাওয়া যায়, যার সাহায্যে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার বাড়ি ড্যাম্প আক্রান্ত কিনা।
- বাড়ির বাইরের দেওয়ালের পাইপগুলো মাঝেমধ্যেই পরীক্ষা করে নিন তাতে কোনও ফাটল দেখা দিয়েছে কিনা। পাইপে ফাটল পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে নিন জলের যাতায়াত কোনও ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে না তো?
- বাড়ির ছাদের সঠিক দেখভাল জরুরি। ছাদ যদি হয় কমজোরি, বা তাতে যদি থেকে থাকে কোনও ফুটো-ফাটা, তাহলে অবধারিত ভাবে আপনার বাড়ি ড্যাম্পের শিকার হবেই হবে।
- রান্নাঘর ও বাথরুমে এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার করুন। এতে দেওয়াল থাকবে শুকনো ও ঝরঝরে।
- অতিরিক্ত স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বিশেষত বর্ষাকালে ঘরে ছোট হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ঘরের অতিরিক্ত আর্দ্রতা চলে গিয়ে ঘর থাকবে শুকনো।
- দীর্ঘদিন একই জায়গায় দেওয়ালে আসবাব লাগানো থাকলেও ড্যাম্প ধরতে পারে। তাই আসবাবটি যদি ছোটখাটো হয়, তাহলে মাঝেমাঝে জায়গা পরিবর্তন করতে পারেন।
- যদি ঘরের ভেতর কাপড় শুকোতে বাধ্য হন তাহলে কখনোই দরজা-জানলা বন্ধ রেখে কাপড় শুকোবেন না।
- ভেন্টিলেশন বায়ু চলাচলের উত্তম পথ। ঘরের ভেন্টিলেশন যেন কখনই ঢাকা না পড়ে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।