গরমে আমরা বড়রা যতই কষ্টে ভুগি না কেন, বাচ্চাদের ব্যাপারটা কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা। কোনও বাচ্চা সাঁতার শিখছে তো কোনও বাচ্চা ক্রিকেটের কোচিং নিচ্ছে, কেউ বা বাস্কেট বল খেলছে তো কেউ মার্শাল আর্ট শিখছে। আর আমরা বাবা-মায়েরা মনে মনে গর্বিত হচ্ছি বাচ্চার পারফরম্যান্স দেখে।
কিন্তু এই যে ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া বা বাচ্চার আউটডোর গেম খেলা, এই সবের মধ্যে একটা জিনিস আমরা খেয়ালই করি না। সেটা হল সূর্যের প্রখর তাপ থেকে বাচ্চার ত্বকের সুরক্ষা। সূর্যের তাপ থেকে আমরা কম-বেশি সকলেই কিছু না কিছু পন্থা অবলম্বন করি, কিন্তু বাচ্চাদের কথা একবারও ভাবি না। শরীরে ভিটামিন D উৎপাদনের জন্য সূর্যের আলো প্রয়োজন। কিন্তু সেই তাপেরও একটা পরিমাণ থাকে। মনে রাখতে হবে যে, বাচ্চা যখন ডিরেক্ট সান লাইটের নিচে বেশ কিছুটা সময় কাটাচ্ছে তখন তার শরীরের খোলা অংশে সূর্যের Ultra violet ray পড়ছে। যা আসলে ভীষণ ক্ষতিকারক। সানট্যান তো পড়বেই, তাছাড়া সূর্যের এই UV Ray কিন্তু স্কিন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। তাই ছোট থেকেই বাচ্চাদের জন্য নিতে হবে বিশেষ ব্যবস্থা। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে আপনার সন্তানের ত্বককে রক্ষা করার জন্য সানস্ক্রীন ব্যবহার করাটা খুবই জরুরী। আসুন চট করে জেনে নিই বাড়িতে খুব অল্প খরচে কীভাবে আপনারা বাচ্চাদের জন্য সানস্ক্রিন বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারবে।
উপকরণঃ
১/৪ কাপ অলিভ অয়েল
১/৪ কাপ শিয়া বাটার
২ টেবিল চামচ জিংক অক্সাইড পাউডার
১ টেবিল চামচ বী-ওয়্যাক্স পেলেটস
১ চা চামচ ক্যারট সিড অয়েল
১০ ফোঁটা পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল
পদ্ধতিঃ
পাত্রে পরিমাণ মতো জল নিয়ে তা অল্প আঁচে গরম করে নিন।
এবার ছোট একটি পাত্র স্ট্যান্ডে বসিয়ে তা গরম করে নেওয়া জলের উপরে রাখুন।
এবার সেই ছোট পাত্রে একে একে যোগ করুন অলিভ অয়েল, বী-ওয়্যাক্স এবং শিয়া বাটার।
প্রতিটি উপকরণ গলে গিয়ে মিশে গেলে আঁচ বন্ধ করে ছোট পাত্রটি নামিয়ে নিন।
মিশ্রণটি সামান্য ঠান্ডা করে নিয়ে তাতে যোগ করুন জিংক অক্সাইড পাউডার।
এবার ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন সবটা। খেয়াল রাখবেন কোনও দানা দানা ভাব যেন মিশ্রণে থেকে না যায়।
তারপর তাতে যোগ করুন ক্যারট সিড অয়েল এবং কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল।
প্রতিটি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি আপনার ঘরোয়া সানস্ক্রিন।
আজকের পর থেকে বাচ্চাকে স্কুলে বা খেলতে পাঠালে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। আপনার বাচ্চার কোমল ত্বকের সুরক্ষা রাখার দায়িত্ব শুধুমাত্র আপনারই।