পয়লা বৈশাখের সকাল মানেই উজ্জ্বল রঙে নিজেকে সাজিয়ে তোলা। তবে নতুন শাড়ি বা সালোয়ারের সঙ্গে যদি মানানসই হেয়ারস্টাইল না থাকে, তাহলে কিন্তু পুরো লুকটাই মাটি। তাই এই দিনে শুধু মুখেই নয়, চুলেও থাকুক উৎসবের রঙ। চলুন দেখে নিই, কিছু সহজ কিন্তু স্টাইলিশ হেয়ারস্টাইল, যা নববর্ষের সাজে যোগ করবে একরাশ নতুনত্ব আর সৌন্দর্য।

১। ফুলের খোঁপাঃ
- সামনে থেকে সব চুলগুলো আঁচড়ে নিয়ে ভালো করে ধরে একটা খোঁপা বেঁধে নিন। কাঁটা আর ক্লিপ লাগিয়ে দিন খোঁপাতে, যাতে খুলে না যায়।
- এবার খোঁপার চারপাশে রজনীগন্ধা বা আপনার পছন্দের যে কোনও মালা জড়িয়ে দিন।
- শাড়ি বা কুর্তির সঙ্গে একেবারে বাঙালি রুপ।

২। বেণি স্টাইলঃ
- একপাশে সিঁথি করে সামনের দিকের চুলগুলো টুইস্ট করে পিছনে এনে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিন। এবার পেছনের চুলটা ডান পাশে নিয়ে একটা বেণি করুন।
- পুরো বেণিটা একটা ফুলের মালা দিয়ে পেঁচিয়ে দিন বা কিছু ফুল বাঁদিকে লাগিয়ে নিতে পারেন।
- ট্র্যাডিশনাল লুকে কিন্তু এই স্টাইল নজর কাড়বেই।
৩। খোলা চুলে ফুলের টাচঃ
- চুল ভালো করে আঁচড়ে খোলা রেখে একপাশে করে নিন। যে পাশে চুলটা রাখবেন তার বিপরীত পাশে ছোট গোলাপ বা ফুলের ক্লিপ লাগাতে পারেন।
- চাইলে খোলা চুলটা কার্ল বা স্ট্রেটও করতে পারেন।
- সাদামাটা সাজেও একটা উৎসবের আমেজ চলে আসবে।

৪। হাফ আপ হাফ ডাউনঃ
- চুল ভালো করে আঁচড়ে নিয়ে চুলের সামনের অংশ বেণি বা টুইস্ট করে পেছনে ক্লিপ দিয়ে দিন।
- এথনিক পোশাকে তো ভালো লাগবেই, ইন্দো–ওয়েস্টার্ন বা ফিউশন লুকেও কিন্তু বেশ মানানসই।

৫। স্লিক ব্যাক পনিটেলঃ
- চুল একদম টানটান করে পিছনে একটা পনিটেল করুন। চাইলে পনিটেলের গোড়ায় চুল পেঁচিয়ে রাবার ব্যান্ড ঢেকে দিন।
- এই লুকটি আধুনিক এবং গরমের দিনেও একদম ঝামেলাহীন।

৬। ওয়াটারফল বেণিঃ
- সামনের দিক থেকে ছোট একটি অংশ নিয়ে তিন প্যাঁচে বেণি শুরু করুন। প্রতি প্যাঁচে এক পাশের চুল ছেড়ে দিন, আর ওপরে নতুন চুল যোগ করুন।
- এভাবে মাথার পাশে পাশে বেণি করে ক্লিপ দিয়ে আটকে নিন। যেখানে চুলের কিছু অংশ বেণির মাঝ দিয়ে নিচে ঝরে পড়ে, তা জলের ধারার মতো দেখায়।
- সোজা বা হালকা কার্ল চুলে দারুণ মানায়। পুঁতির ক্লিপ দিয়ে সাজালে লুকটা হয়ে উঠবে একদম রাজকীয়।
এই নববর্ষের সাজে থাকুক পরিপাটি চুলের ছোঁয়া। স্টাইল হোক সহজ, স্বচ্ছন্দ আর একদম অনন্য।