বাড়িতে পোষ্য রাখতে কে না ভালোবাসে! ঘরের মধ্যে বিভিন্ন পেইন্টিং, শোপিস এগুলোর পাশাপাশি একটা সুন্দর অ্যাকোয়ারিয়াম রাখতে অনেকেই পছন্দ করেন। সেই অ্যাকোয়ারিয়ামে রঙিন মাছেরা সারাদিন খেলা করে বেড়াবে। সব মিলিয়ে যেন একটা সুন্দর চোখ জুড়িয়ে যাবার মতো দৃশ্য। তবে ঘরে শুধু অ্যাকোয়ারিয়াম সাজিয়ে রাখলেই তো হবে না! অ্যাকোয়ারিয়ামে থাকা মাছগুলোকে কিভাবে যত্ন করবেন তার কিছু টিপস রইল আপনাদের জন্য।

অ্যাকোয়ারিয়ামের সাইজ –
- প্রথমেই আপনাকে মাছের প্রজাতি ও সংখ্যার উপর ভিত্তি করে অ্যাকোরিয়ামের সাইজ নির্বাচন করতে হবে।
- ছোট-বড়ো মিলিয়ে মাছ রাখতে চাইলে একটু বড়ো সাইজের অ্যাকোয়ারিয়াম দরকার পরে।
- কিছু রঙিন মাছ একা থাকতে পছন্দ করে। গাদাগাদি করে অনেক মাছকে একসঙ্গে অ্যাকোয়ারিয়ামের মধ্যে না রাখাই ভালো।
অ্যাকোয়ারিয়ামের জল –
- অ্যাকোয়ারিয়ামের জলের তাপমাত্রা যত বেশি থাকবে অক্সিজেনের পরিমাণ ততই কম হবে। তাই জলে এয়ার পাম্পের সাহায্যে বেশি পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে।
- অ্যাকোয়ারিয়ামের মধ্যে বেশ কিছু জলজ গাছ লাগালে জলের তাপমাত্রা কম থাকবে। এতে মাছ ভালো থাকে।
- জলের মান ঠিক রাখতে প্রতি সপ্তাহে অ্যাকোয়ারিয়ামের এক তৃতীয়াংশ জল বার করে দিয়ে পরিশুদ্ধ জল ঢালতে হবে।
- অ্যাকোয়ারিয়ামের জলের তাপমাত্রা ২৪–২৬.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড রাখা প্রয়োজন, যা মাছের জন্য উপযোগী।
- জলের পিএইচ মাত্রা ৬.৫ থেকে ৮.৫-এর মধ্যে থাকলে তা মাছের জন্য ভালো।

খাদ্য –
- মাছের প্রজাতি অনুযায়ী উপযুক্ত খাবার দিতে হবে।
- প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার মাছকে দেবেন না। তবে সময়মতো খাবার দেবার চেষ্টা করবেন।
- মাছগুলোকে কম প্রোটিন যুক্ত এবং বেশি ফাইবার যুক্ত খাবার দেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে মাছের হজম ভালো হয়।
মাছ নির্বাচন –
- ভালোভাবে বিচার বিবেচনা না করে নিজের ইচ্ছামতো মাছ কিনে নেবেন না।
- কোন মাছ কোন উষ্ণতার জলে থাকে, কোন মাছ একাধিক প্রজাতির মাছের সঙ্গে থাকতে পারে – এইসব বিষয় জেনে বুঝে তবেই মাছ কেনা উচিৎ।

অ্যাকোয়ারিয়াম পরিষ্কার রাখুন –
- মাসে একবার সম্পূর্ণ অ্যাকোয়ারিয়াম পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
- অ্যাকোয়ারিয়ামে যদি বেশি পরিমাণে মাছ থাকে সেক্ষেত্রে এক মাস হওয়ার আগেই পরিষ্কার করতে হবে।
- অ্যাকোয়ারিয়ামে থাকা নুড়ি পাথর, কৃত্রিম গাছ, শোপিসগুলো ঘষে পরিষ্কার করতে হবে।
- ফিল্টারও মাসে একবার পরিষ্কার করা জরুরি।
শুধু ঘর সাজানোর জন্য নয়। অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছগুলোকে যত্ন করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই টিপসগুলো মেনে চললে আপনারা ঘরের মধ্যেই মাছেদের বসবাসযোগ্য একটা সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলতে পারেন।