বাগান করার শখ তো অনেকেরই থাকে। সবুজ ঘাসের চাদর, তার উপর যত্নে সাজানো কোথাও ফুল গাছ, আবার কোথাও পাতাবাহার…
কিন্তু মাপা স্কোয়্যার ফুটের ফ্ল্যাটে সেই স্বপ্ন ঘর থেকে বেরোনোর জায়গাই পেল না কোনওদিন! এদিকে ইচ্ছেপূরণের চাবিকাঠিটা কিন্তু রয়েছে আপনার হাতের কাছেই, বা বলা ভাল, ঘরের মাঝেই। বাড়িতে যদি থাকে খোলামেলা একটা ব্যালকনি, তাহলে সেখানেই সেজে উঠতে পারে আপনার শখের বাগান। প্রয়োজন শুধু কিছু বিষয় মাথায় রাখার।
• ব্যালকনির কোন অংশে কতগুলো এবং কী কী গাছ রাখতে চাইছেন গোড়াতেই সেই প্ল্যানটা সেরে ফেলুন। বাগানের পিছনে যাতে প্রচুর সময় না দিতে হয়, সে জন্য এমন গাছের কথা ভাবুন যেগুলোর খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন পরে না।
• শুরু করার আগে বাজেট ঠিক করে নিন। ব্যালকনি গার্ডেন কতটা খরচসাপেক্ষ হবে তা পুরোপুরিই নির্ভর করছে আপনি কোন ধরনের গাছ লাগাবেন তার উপর।
• দেখতে হবে গাছগুলি যেন সঠিক মাত্রায় জল ও সূর্যের আলো পায়। আমাদের মতো গরমের দেশে এমনিতেও গাছে বেশি জল দিতে হয়। তা ছাড়া, ব্যালকনি যদি হয় দক্ষিণ বা পশ্চিমমুখী এবং যদি খুব হাওয়া দেয়, তাহলেও জলের পরিমাণ বাড়াতে হবে। আপনার মিনি-গার্ডেন দিনে কতটা রোদ পায় খেয়াল রাখুন সেটাও। গাছ কেনার আগে জেনে নিন কোন দিকে ফেসিং ব্যালকনির জন্য উপযুক্ত কোন কোন গাছ।
• বাগান করছেন বলে বেড়াতে যাবেন না, তা তো হতে পারে না। কিন্তু আপনি না থাকলে গাছেদের জল দেবে কে? যদি সম্ভব হয় দায়িত্ব দিয়ে যান কোনও প্রতিবেশীকে। সেটা সম্ভব না হলে অটোম্যাটিক ওয়াটারিং সিস্টেমের ব্যবস্থা রাখুন। বাড়তি গুরুত্ব দিন বাগানের জন্য টব বাছার দিকেও।
• বাগানকে রঙের ছোঁয়া দিতে রাখুন বেশ কিছু ফুলের গাছ। আপনার পছন্দ এবং সঙ্গে অবশ্যই জায়গা, বাজেট ও সূর্যের আলোর কথা মাথায় রেখে বেছে নিন ফুলগাছ। অপশন কিন্তু প্রচুর! লম্বায় বেশ কিছুটা জায়গা থাকলে লতানো ফুলগাছ লাগাতে পারেন। জায়গা অনুযায়ী ছোট-বড় টব তো রাখতে পারেনই। আর সঙ্গে ব্যালকনির ছাদ বা রেলিং থেকে ঝুলিয়েও দিতে পারেন ছোট একটা হ্যাঙ্গিং পটে রঙিন ফুলের গাছ। জায়গা থাকলে লাগাতে পারেন টম্যাটো, লঙ্কা, বেগুনের মতো কিছু সবজিও।
• সবরকম ফুল বা গাছ সব মরশুমে হয় না। তাই সিজ়নের সঙ্গে সঙ্গে বদলাতে থাকুন আপনার মিনি-গার্ডেনের গাছ। গরমকালে সূর্যমুখী, শীতকালে গোলাপ, ডালিয়া ইত্যাদি বাড়িয়ে তুলবে ব্যালকনির সৌন্দর্য। পিটুনিয়ার মতো কিছু ফুল আবার ফুটবে প্রায় সারা বছরই।