যেমন সদ্যোজাত শিশুর যত্নে মায়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি নবজাতক কুকুর বা বিড়াল ছানার পরিচর্যাতেও প্রয়োজন ভালোবাসা আর সচেতনতা। তারা কিছুই বলতে পারে না, কিন্তু তাদের প্রয়োজনীয়তা বোঝা এবং সঠিক সময়ে সঠিক যত্ন দেওয়া –এটাই একজন দায়িত্ববান পোষ্য অভিভাবকের কাজ। তাই নতুন পোষ্য ঘরে আসার পর প্রথম তিন মাসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে রাখা খুব দরকার, যাতে তারা ভবিষ্যতে সুস্থ ও প্রাণবন্তভাবে বেড়ে উঠতে পারে।

১। নিরাপদ আশ্রয়ঃ
ঘরের একটি কোণে শান্ত ও উষ্ণ স্থান তৈরি করুন, যেখানে আপনার কুকুর বা বিড়াল ছানাটি আরাম করে ঘুমোতে ও বিশ্রাম নিতে পারে। দূরে রাখুন বৈদ্যুতিক তার বা রাসায়নিক দ্রব্য।

২। সঠিক খাবারঃ
কুকুর বা বিড়াল ছানার বয়স অনুযায়ী ভেটেরিনারির পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত মিল্ক রিপ্লেসার বা পোষ্যদের জন্য নির্ধারিত খাবার দিন। গরু বা মানুষের দুধ একদম নয়।

৩। ভ্যাকসিনেশন ও ডিওয়ার্মিংঃ
ভেটেরিনারির পরামর্শ নিয়ে প্রথম ৬-৮ সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিনেশন শুরু করুন। এছাড়া অন্তত প্রতি মাসে একবার কৃমিনাশক দিন, যাতে তারা সুস্থ থাকে।

৪। সামাজিকীকরণ ও খেলাঃ
ছোট থেকেই আলতোভাবে মানুষের সংস্পর্শে আনুন। তাদের সঙ্গে খেলার মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন। এতে তারা ভয় পাওয়া বা আক্রমণাত্মক হওয়ার প্রবণতা হারায়।

৫। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাঃ
খাবার, জলপাত্র ও শোবার জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার করুন। শরীর পরিষ্কার রাখতে ভেজা কাপড় ব্যবহার করুন, তবে প্রথম তিন মাসে স্নান না করানোই ভালো।

৬। চেক-আপ ও ভেট ফলোআপঃ
শুধু টিকা নয়, সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষাও জরুরি। ওজন বাড়ছে কি না, দাঁত ও চোখ ঠিক আছে কি না, এসব নিয়মিত যাচাই করুন। যদি কোনও অস্বাভাবিক আচরণ বা লক্ষণ দেখা যায়, অবিলম্বে পশু চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
প্রথম তিন মাসের যত্নই হবে তার সারাজীবনের ভিত্তি। ভালোবাসার সঙ্গে গড়ে উঠুক এক চিরস্থায়ী সম্পর্ক।