Spread the love

রান্নাঘর বেশ রহস্যময় জায়গা। প্রতিদিন এর ভেতর থেকে কত শত সুস্বাদু খাবার বের হয়। কিন্তু খেতে যতটা সহজ, রান্নাঘরে রান্না করা কিন্তু ততটা সহজ নয়। আপনি রন্ধনপটিয়সী নাই হতে পারেন, তাই বলে কি রান্নাঘরের সাজে কম্প্রোমাইজ করবেন? একদমই না। কারণ রান্নাঘরের সাজগোজ নিয়েও এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগ প্রচুর। তাই নিজের বাড়ির রান্নাঘরকে সাজিয়ে তুলুন আপনার মনের মতো করে।

  • আগেকার দিনে রান্নাঘরের চেহারা নিয়ে ঘরণীরা বিশেষ একটা মাথা ঘামাতেন না। তবে এখন রান্নাঘর পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি এর সাজসজ্জার উপরও নজর দেওয়া হয়। আর তাই তো এখন মডিউলার কিচেনের রমরমা। এতে কিচেনও হয়ে গিয়েছে অনেক বেশি কম্প্যাক্ট, জার্কফ্রেন্ডলি। নিজের সুবিধা ও প্রয়োজনমতো গুছিয়ে নেওয়া যায়। প্রয়োজনে কাস্টমাইজ করারও সুযোগ রয়েছে। প্রানাইট স্ল্যাবের উপর গ্যাস বার্নার, ওভেন। উপরে, নীচে সারি সারি ক্যাবিনেট আর মাল্টিফাংশনার ড্রয়ার। এতে রান্নাঘর যেমন কম্প্যাক্ট লাগে তেমনই পরিষ্কার থাকে।
  • রান্নাঘরের টাইলস্‌ নিয়ে এখন যথেষ্ট ভাবনাচিন্তা করা হয়। কুকিং কাউন্টারের সামনের অংশে আড়াই থেকে তিন ফুট উচ্চতা পর্যন্ত গ্লেজ টাইলস্‌ লাগানো হয়। এতে তেল কালির দাগ পড়ে না। মাটির জন্যে অ্যান্টিডি টাইল যথার্থ অপশন। কিচেনে এখন গ্যাজেটের সংখ্যাও থাকে বেশি। তাই আলাদা করে ডিশওয়াশার, রাইস কুকার, ইন্ডাকশনের জন্যে স্ল্যাব বানানো পছন্দ করেন অনেকে।
  • কালার স্কিম থেকে শুরু করে কাঁচের স্লাইডিং দরজা সবই প্রাধান্য পায় আধুনিক কিচেনে। রান্নাঘরের রং নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার সুযোগ আছে। হালকা রঙের থেকে ডিপ রং করানোই ভাল। আর একটু খরচ বেশি হলেও ওয়াশেবল পেন্ট করাই শ্রেয়।
  • রান্নাঘরের আয়তনের উপর নির্ভর করে সাজগোজ। খুব ছোট জায়গা হলে আলাদা করে রান্নার জন্যে ঘর না বানিয়ে ওপেন কিচেনও বানানো যায়। ডায়নিং রুম বা বসার ঘরের লাগোয়া রান্নাঘরের পার্টিশন ওয়াল ভেঙে বানিয়ে ফেলা যায় ওপেন কিচেন। এতে জায়গাও অনেক বড় দেখায়। আর রান্নাঘরের আয়তন বেশি হলে তো কথাই নেই।
  • মডিউলার কিচেন যদি বানাতে না চান, তবে সেই আদলে স্টোরিং স্পেস বানিয়ে নেওয়াই যায়। ছোট জায়গা হলে ফ্লোর স্পেস নষ্ট না করে দেওয়ালের গায়ে বানিয়ে নেওয়া যায় স্টোরিং ইউনিট। আর স্টোরিং ইউনিটের পাল্লা কাঠের তো করাই যায়। নানারকম প্লাইও অপশন হিসেবে মন্দ নয়। এতে খরচও কম হয়। খুব বেশি ক্যাবিনেট করার জায়গা না থাকলে ওপেন র‍্যাক সিস্টেমও মন্দ লাগে না। তবে রোজ পরিষ্কার করাটা জরুরি। একটু ইনোভেটিভ হতে চাইলে কিচেনের ওয়ালে হ্যাঙ্গিং অপশন করেও হাতা, খুন্তি, চামচ ঝোলাতে পারেন।

রান্নাঘর আর শুধুমাত্র বাড়ির একটা অংশ নয়। বাড়ির বাকি ঘরের মতোই এখন রান্নাঘরের সাজেও এসেছে নানা বদল। আসলে সময়ের সঙ্গে চিন্তাভাবনা বদলেছে আমাদের। আর কথায় তো আছেই ঘ্রাণেই অর্ধভোজন। সুতরাং ভোজনের জায়গাটি পরিপাটি হতেই হবে। তাই হেলাফেলায় নয়, যত্ন নিয়ে সাজিয়ে তুলুন রান্নাঘর।

Related Posts