আমাকে কেমন দেখাচ্ছে? চুলটা ঠিক আছে? মুখটা ঠিক লাগছে? আর ড্রেস টা?- এই সবকিছুর উত্তর আপনি যার কাছে সহজেই পেয়ে যান, সে হল আয়না। সারাদিনে বা সারাদিনের শেষে অনেকেরই নিজেকে খুঁটিয়ে দেখার একমাত্র মাধ্যম হল আয়না। আয়না ছাড়া ঘরের কথা ভাবাই যায় না। ঘর যেমনই হোক, আয়না একটা না একটা থাকবেই। তবে উপযুক্ত স্থানে যদি আয়নাকে রাখা যায়, তাহলে আপনার অন্দরের সাজে এটি একটি অন্য মাত্রা আনতে পারে।
শয়নকক্ষে আয়নাঃ বেডরুমে সাধারণত ড্রেসিং টেবিলের সঙ্গে অ্যাটাচ্ আয়না থাকে। আবার অনেকেই ওয়ার্ড্রোবের বা আলমারির এক পাশে আয়না লাগিয়ে নেন। তবে রুমে জায়গা কম থাকলে ফ্রেমিং করে দেওয়ালে আয়না ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। সবচেয়ে বেশি ঘরের শোভা বাড়ে, যদি আপনার বড় আয়নাটিকে ফ্রেমিং করে দেওয়ালের কোনও একদিকে হেলান দিয়ে রাখেন। তাহলে মাথা থেকে পা নিজেকে স্পষ্টভাবে দেখতে পারবেন। হাতে নেওয়ার মত ছোট্ট আয়নাও সংগ্রহে রাখতে পারেন।
বৈঠক ঘরে আয়নাঃ ঘরোয়া আড্ডায় বা বন্ধুদের সঙ্গে চায়ে চুমুক দেওয়ার ফাঁকে ফাঁকে যদি একবার আয়নাতে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যায় তাহলে কেমন হয়? জানলার ঠিক উল্টোদিকের দেওয়াল জুড়ে রাখুন একটি আয়না। ফ্রেমিং করা আয়না আনুন, যাতে আপনার অন্দরমহল আরও সুন্দর দেখায়। অবশ্যই আসবাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আয়নার ফ্রেম নির্বাচন করুন।
প্রবেশপথে আয়নাঃ বাড়ির প্রবেশপথে সাধারণত আয়না রাখার কথা কেউ ভাবেন না। কিন্তু প্রবেশপথে আয়না থাকলে, আপনার অতিথিদের কাছে এটা একটা অন্যতম আকর্ষণের জায়গা হতে পারে। আর্টিফিসিয়াল লতাপাতা দিয়ে আয়নার দুইদিক থেকে ঝুলিয়ে দিলে প্রবেশপথ আরও নান্দনিক হয়ে উঠবে। তাছাড়াও ঘরে ঢুকতে বা বাইরে বেরনোর আগে নিজেকে এক ঝলক দেখে নেওয়াও যাবে।
ছোট ঘরকে বড় দেখাতে আয়নার জুড়ি মেলা ভার। কারণ যে কোনও জায়গায় একটা বড় আয়না রাখা গেলে এর মধ্যে ঘরের প্রতিবিম্ব পড়ে ঘরকে বেশ বড় দেখায়। তাই ঘর ছোট হলে, অবশ্যই আয়না রাখার চেষ্টা করুন। আয়নার জন্য টেরাকোটা কাজ বা পুরনো দিনের নকশা করা ফ্রেম ব্যবহার করুন, এতে আভিজাত্য প্রকাশ পায়। দেরি না করে, আয়নায় সাজিয়ে তুলুন আপনার বাড়ির আনাচ কানাচ। আর হ্যাঁ, আপনার সাধের আয়নাগুলোর যত্ন নিতে কিন্তু ভুলবেন না।