বর্ষায় কাঠের দরজা – জানলার প্রধান শত্রু হল জল। এই সময় আকাশে যখন কালো মেঘ করে বৃষ্টি নামে, তখন রোম্যান্টিক মন বেশ উদাস হয়ে গেলেও একরাশ বিরক্তির সৃষ্টি হয়, যখন ঘরের দরজা – জানলা ঠিকমত বন্ধ করতে পারেন না। এমনকি আলমারি যদি কাঠের হয় তখনও সমস্যা হয়। দুটি পাল্লা ঠিকমত বন্ধ হতে চায় না। কিছুতেই বুঝে উঠতে পারেন না যে বৃষ্টিতে কাঠের কী করে সমস্যা হল? এককথার উত্তর, বৃষ্টিতে শুধু যে কাঠের ক্ষতি হয় তা নয়, এই সময় আকাশে – বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই দরজা জানলার কাঠও এই জলীয় বাষ্প আক্রান্ত হয় ও আয়তনে বেড়ে যায়।
এবার জেনে নেওয়া যাক কীভাবে কাঠের দরজা – জানলাকে বর্ষার হাত থেকে রক্ষা করবেন।
- প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার বাড়ির দরজা – জানলা যেন রোজ পরিষ্কার থাকে।
- বর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার জেরে দরজা, জানলা, কাঠের আলমারিতে ঘুণপোকার আক্রমণ ঘটতে পারে। তাই বর্ষার শুরুতেই দরজা – জানলায় ন্যাপথলিন, নিম ও মোমের স্প্রে করে রাখুন।
- এই সময় কাঠ বেড়ে যাওয়ায় দরজা – জানলা ঠিকমতো বন্ধ করা যায় না। বারান্দার দরজা বা বাড়ির বাইরের দিকের দরজা – জানলা, যেখানে বৃষ্টির জল লাগে সেখানে বর্ষার আগে একবার ও বছরে দু’বার বার্নিশ বা পালিশ করে নেওয়া যেতে পারে। তাহলে বর্ষায় দরজা – জানলার ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে।
- এছাড়া এই সময় যদি পাতলা সি.আই. শিটের আলাদা প্রলেপ লাগানো যায় তবে তা জলের হাত থেকে দরজা-জানলাকে রক্ষা করবে।
- বৃষ্টির পরে দরজা-জানলা ভিজে গেলে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। দরজা-জানলা সবসময় মোছা সম্ভব হয় না, কিন্তু সপ্তাহে একদিন যদি একটু খেয়াল করে মোছার ব্যবস্থা করেন তবে এগুলি সুরক্ষিত থাকবে।
- ড্রয়ার, আলমারি বা কাঠের আসবাবপত্র দেওয়াল থেকে দূরে রাখা উচিৎ। তাতে দেওয়াল আর্দ্র থাকলেও কাঠের আসবাব তার সংস্পর্শে আসবে না।
ঘরের আসবাবপত্রকে যতই জড় পদার্থ মনে হোক না কেন, আপনার নরম হাতের ছোঁয়াতেই সুন্দর ও সজীব হয়ে ওঠে। তাই মাঝেমধ্যে বাইরের কাজ সামলে, সপ্তাহে একদিন অন্তত ঘরের দরজা, জানলা, আসবাবপত্রকে ঝকঝকে করে তুলুন।