১৯৬৭ সালে, প্রাণিবিজ্ঞানী ডেসমন্ড মরিস ঘোষণা করেছিলেন যে, “ফ্ললেস স্কিন ইজ দ্য মোস্ট ইউনিভার্সালি ডিসায়ারড্ হিউমান ফিচার”। আমরা সকলেই সুস্থ আর সুন্দর স্কিন পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে থাকি। বেশিরভাগ মানুষই স্কিন কেয়ার বলতে মুখ পরিষ্কার করে আর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে। তবে আমাদের স্কিনের জন্য আরও কিছু সহজ এবং প্রয়োজনীয় কেয়ার নেওয়া দরকার।
ক্লিনজিং- মুখ পরিষ্কার করা একটি বেসিক এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় স্টেপ। মুখের ময়লা তুলতে, ব্রণ এড়াতে বা ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে দিনে দুবার মুখ পরিষ্কার করা উচিত। ক্লিনজারগুলো বিভিন্ন ফর্মুলেশনে আসে। আপনার স্কিন টাইপ অনুযায়ী একটি ক্লিনজার বেছে নিয়ে ব্যবহার করুন।
টোনিং- পরিষ্কার করার পরে একটি টোনার লাগিয়ে নিন কারণ এটি আপনার ত্বকের পিএইচ লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া স্কিনকে হাইড্রেট রাখতে এবং পরবর্তীতে যা যা মুখে ইউজ করা হবে তা যাতে স্কিন ভালভাবে অ্যাবসর্ব করতে পারে, তার জন্য স্কিনকে প্রিপেয়ার করে। এই পর্যায়ে সিরামও প্রয়োগ করা যেতে পারে। সিরাম মুখের ফাইন লাইনস্, কালো দাগ বা হাইড্রেশনের মতো সমস্যার সমাধান করে। প্রতিদিনের রুটিনে রাখুন একটি সিরাম। ভিটামিন-C সিরামও ব্যবহার করতে পারেন।
ময়েশ্চারাইজিং- আপনার স্কিনের ধরন যেমনই হোক, ময়েশ্চারাইজিং করতেই হবে। একটি ভাল ময়েশ্চারাইজার হাইড্রেশন লক করতে সাহায্য করে, বাইরের ক্ষতিকর জীবাণু থেকে স্কিনকে রক্ষা করতে একটি বাধা তৈরি করে। আপনার স্কিনের প্রয়োজন অনুযায়ী একটি ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। দৈনন্দিন রুটিনের জন্য একটি ময়েশ্চারাইজিং সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। মেঘলা দিনেও প্রতিদিন সকালে কমপক্ষে SPF 30 সানস্ক্রিন প্রয়োগ করাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্কিন ভাল রাখতে হাইড্রেটেড থাকা অত্যাবশ্যক। হাইড্রেশন ভেতর থেকে আসে, তাই সারাদিন প্রচুর পরিমাণে জল খেতে ভুলবেন না।
এই সহজ, কিন্তু কার্যকর স্কিনকেয়ার রুটিন আপনার স্কিনকে রাখবে হেলদি, ঝকঝকে, মসৃণ। তাই আপনার স্কিন টাইপ ও স্কিনের প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে আপনার রুটিন কাস্টমাইজ করুন আর সুস্থ থাকুন।