Spread the love

শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যাই হোক না কেন, বাড়িতে বসে থাকলে তো আর কারোর চলবে না। প্রতিদিন কোনও না কোনও কাজের জন্য বাইরে বেরোতেই হয়। ফিরে এসে ত্বকের যত্ন নিতে আর ইচ্ছে করে না। আর ওখানেই আমরা সবচেয়ে বড়ো ভুলটা করে বসি। কারণ ত্বকের অযত্নে আমাদের অনেক ক্ষতি হতে পারে। আসুন জেনে নিই, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে ত্বকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাগুলি।

ত্বকের যত্ন নিতে আর ইচ্ছে করে না। আর ওখানেই আমরা সবচেয়ে বড়ো ভুলটা করে বসি।

১. বাহ্যিক ক্ষতিকর পদার্থ থেকে সুরক্ষা– বিভিন্ন ক্ষতিকারক জীবাণু, দূষণকারী পদার্থ এবং UV রশ্মি থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করতে ত্বক বেরিয়ার হিসাবে কাজ করে। তাই প্রপার স্কিন কেয়ার করলে ইনফেকশন, অ্যালার্জি বা কোনও রোগ হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়।  

২. ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ- হেলদি ত্বক ময়েশ্চার ধরে রাখে, ড্রাইনেস, চুলকানি ও ফাটল প্রতিরোধ করে। এছাড়া নমনীয়তা বজায় রাখে এবং সংক্রমণের ঝুঁকিও কমায়।

৩. শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ- ঘাম এবং রক্তনালীগুলির প্রসারণের মতো প্রক্রিয়াগুলির মাধ্যমে ত্বক শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাই ত্বকের হাইড্রেশন এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখা প্রয়োজন।  

৪. ভিটামিন ডি সংশ্লেষণ– সূর্যালোকের প্রভাবে ত্বকে ভিটামিন-D তৈরি হয়, যা হাড়ের স্বাস্থ্য, ইমিউন ফাংশন এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে UV রশ্মি আমাদের ক্ষতি করে। আর এই ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে ত্বক।

৫. অনুভূতি এবং ইন্টার‍্যাকশন- ত্বকের নার্ভ আমাদের স্পর্শ, চাপ, তাপমাত্রা, ব্যথা ইত্যাদি অনুভব করতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর ত্বক আমাদের পরিবেশের সাথে ইন্টার‍্যাক্ট করার এবং কার্যকরভাবে উদ্দীপনায় সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা বাড়ায়।  

৬. ক্ষত নিরাময়ের জন্য সহায়তা- ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় থাকলে যে কোনও ক্ষত দ্রুত নিরাময় হয় এবং ক্ষতের সঠিক যত্ন ইনফেকশনের ঝুঁকি কমায়।

৭. স্বাস্থ্য সমস্যা প্রাথমিক শনাক্তকরণ- ত্বকের টেক্সচার, রঙ বা চেহারার পরিবর্তন অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্যের অবস্থার সংকেত দিতে পারে। নিয়মিতভাবে আপনার ত্বকের দিকে নজর রাখলে রোগ শনাক্তকরণ এবং প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসা করা সম্ভব।

৮. আদর্শ এবং আত্মবিশ্বাস গ্রো করা- স্বাস্থ্যকর ত্বক আমাদের চেহারা এবং আত্মসম্মান গ্রো করাতে বিশেষ অবদান রাখে। পরিষ্কার, উজ্জ্বল ত্বক আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং ইতিবাচকভাবে আমাদের সামাজিক ও পেশাদার ক্ষেত্রের ইন্টার‍্যাকশনকে প্রভাবিত করে।

৯. দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা- এখন থেকেই ত্বকের যত্ন নিতে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যা কমে যাবে। বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলিকে যেমন বলিরেখা বা বয়সের দাগ ইত্যাদিকে কন্ট্রোল করতে পারে স্বাস্থ্যকর ত্বক। এছাড়াও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আপনার তারুণ্যতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।

নিয়মিত ত্বকের যত্নের অভ্যাস, আপনার শরীরকে এবং এর কার্যাবলীকে সঠিকভাবে চালিত ক’রবে। সামগ্রিক সুস্থতা বজায় থাকবে। দৈনন্দিন পরিচর্যা, সূর্যালোকে বেরোলে প্রটেকশন নেওয়া বা প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া- যে কোনও মাধ্যমেই হোক না কেন, আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিলে আপনি একটি দীর্ঘমেয়াদী, স্বাস্থ্যকর এবং সুখী জীবন পাবেন।

Related Posts