এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, নাক ডাকার প্রবণতা থাকলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। যার ফলে আই কিউ তো কমেই, সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও ঝাপসা হতে শুরু করে।
এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, নাক ডাকার প্রবণতা থাকলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। যার ফলে আই কিউ তো কমেই, সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও ঝাপসা হতে শুরু করে।
তবে চিন্তার কিছু কারণ নেই। এই সমস্যা সমাধানের কিছু ঘরোয়া উপায় আছে।
১. অনেক সময় নাকের ভেতরে কোনো বাধা থাকার কারণে নাক ডাকার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে নিয়মিত ঘুমোনোর আগে এলাচ-চা খেলে কিন্তু দারুন উপকার মেলে। কারণ এই প্রাকৃতিক উপাদানটি অন্দরে উপস্থিত একাধিক উপকারী উপাদান নাকের ভিতরের বাঁধা সরিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
২. অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদানে পরিপূর্ণ হলুদ শরীরের অন্দরে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহ কমাতে শুরু করে। এর সঙ্গে নাক ডাকার প্রবণতাও কমে। প্রতিদিন শুতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস গরম দুধে ২ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করার অভ্যাস করতে হবে।
৩. ক্যামোমাইল চা শরীরের ভেতরের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা নাক ডাকার প্রবণতা কমায়। সেই সঙ্গে নার্ভ এবং পেশীর কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে এক কাপ গরম জলে, ক্যামোমাইল ফুলের নির্যাস দিয়ে তৈরি টি ব্যাগ কম করে ১৫ মিনিট চুবিয়ে রাখতে হবে। সময় হয়ে যাওয়ার পর চা-টা পান করে শুতে যেতে হবে।
৪. নাক ডাকার সমস্যা কমাতে ঘি-এর কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে অল্প পরিমাণ ঘি গরম করে তার থেকে ২-৩ ড্রপ করে নিয়ে যদি নিয়মিত নাকে দেওয়া যায়, তাহলে নাসিকা গর্জন থামতে একেবারেই সময় লাগে না।
৫. রাতে শুতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে যদি এক গ্লাস গরম জলে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে নাকা ডাকার সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগই পায় না। কারণ মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান গলার প্রদাহ কমায়। সেই সঙ্গে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করে তোলে। ফলে নাক ডাকার সম্ভাবনা কমে।