মুখের যেকোনও দাগই বিরক্তিকর। নিজেরই নিজেকে দেখতে ইচ্ছে করে না। সবসময় অস্বস্তি বোধ হয়, মানুষজন তাকিয়ে দেখছে মনে হয়। বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন ধরে চশমা পরছেন, দাগের সমস্যার সঙ্গে হাড়ে হাড়ে পরিচিত। একটানা চশমা পরতে পরতে নাকের দু’পাশে আর উপরে বিশ্রী দাগ পড়ে যায় অনেকেরই। মেকআপ বা কনসিলারে সাময়িক উঠে গেলেও দাগটি থেকেই যায়। মূলত ফিটিংয়ের সমস্যা বা একজায়গায় দীর্ঘক্ষণ চাপ পড়ার কারণেই চশমার দাগ পড়ে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এই দাগ ক্রমশ গাঢ় হতে থাকে, তারপর একসময় তা পাকাপাকিভাবে বসে যায়। তবে, এই দাগ তুলতে হাতিঘোড়া বিশাল কিছু করারও দরকার নেই। বাড়িতে খুব সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়েই ক্রমশ হালকা করে ফেলতে পারবেন চশমার বিশ্রী দাগ।
- অ্যালোভেরা জেল
অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে অ্যালোভেরা জেল। চশমার দাগই বা তার ব্যতিক্রম হতে যাবে কেন। ফ্রেশ অ্যালোভেরার পাতা কেটে, ভিতরের জেল বের করে নিয়ে দাগের উপর লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে উঠে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নেবেন। মাসখানেক টানা করতে পারলেই দাগ চলে যাবে।
- শসার রস
শসার রস চশমার এঁটে বসা কালো দাগ সহজেই তুলে দিতে পারে। রসটা চিপে নিয়ে লাগান বা টুকরোগুলো দাগের উপর ঘষুন, ফল পাবেন দু’ভাবেই। তবে রোজ লাগাতে হবে।
- লেবুর রস
পাতিলেবুর রস ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে খুবই ভালো। পাতিলেবুর রস তুলোয় করে নিয়ে চশমার দাগের উপর ঘষুন। মিনিট দশেক রেখে ধুয়ে ফেলবেন। প্রতিদিন স্নানের সময় লাগিয়ে নিতে পারেন। ইচ্ছে করলে পাতিলেবুর রসের মধ্যে অল্প মধু মেশাতে পারেন, তাতে ত্বক আর্দ্রও থাকবে।
- আলুর রস
কড়া দাগ হালকা করে দিতে পারে আলুর রস। তার সঙ্গে ডেড সেলগুলো তুলে ফেলে একটা বাড়তি জেল্লাও এনে দেয়। একটা ছোট আলু কুরিয়ে নিন। চিপে রসটা বের করে চশমার দাগের উপরে লাগান। ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখলে শুকিয়ে যাবে। তখন জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন লাগালে তফাৎ বুঝতে পারবেন।
- কমলালেবুর খোসা
শীতের কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে রেখে দেন অনেকে। সেই শুকনো খোসা শিলে বা হামানদিস্তায় মিহি করে গুঁড়িয়ে নিন। গ্রাইন্ডারও ব্যবহার করতে পারেন। আধ চা চামচ এই গুঁড়ো নিয়ে তাতে অল্প কাঁচা দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাগের উপর লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলবেন।