অন্যদের লম্বা, সুন্দর চুল দেখে আপনার মনে হয় তো ‘যদি আমার চুলও এমন হত!’ আপনার চুলও এরকম হতেই পারে। হেলদি, সুন্দর, প্রাণবন্ত চুল পাওয়ার জন্য কোনো জটিল নিয়মের প্রয়োজন হয় না। কিছু সহজবোধ্য, তবুও কার্যকর, হেয়ার কেয়ার রুটিন ফলো করলেই আপনার চুল পেতে পারে এক অবিশ্বাস্য সৌন্দর্য।
অয়েলিং- অনেকেই চুলে তেল দেয় না। যেটা একেবারে ভুল কাজ। তেল চুলকে নরম করে এবং ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে। স্ক্যাল্পে তেল মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা চুলের বৃদ্ধিকে উন্নত করে। মাথার ত্বকে তেল লাগালে তা খুশকি রোধ করতেও সাহায্য করে। হালকা গরম তেল দিয়ে চুল মাসাজ করতে পারেন। চুলকে নিয়মিত পরা থেকে রক্ষা করে একটি ভালো হেয়ার অয়েল।
ক্লিনজিং- চুল এবং চুলের গোড়ায় যে ময়লা বা তৈলাক্ত ভাব থাকে ক্লিনসিং করলে তা চলে যায়। খুশকির মতো সমস্যা থাকলেও তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই, সপ্তাহে ২-৩ দিন সুবিধামতো বা প্রয়োজন মতো চুল শ্যাম্পু দিয়ে ক্লিন করুন। আপনার হেয়ার টাইপস্ অনুযায়ী একটি শ্যাম্পু বেছে নিন। ভেজা চুলে অল্প পরিমাণে শ্যাম্পু লাগান। আঙুলের ডগা ব্যবহার করে আপনার মাথার স্ক্যাল্পে এটি মাসাজ করুন এবং তারপরে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন।
কন্ডিশনিং- শ্যাম্পু স্ক্যাল্পের অতিরিক্ত তেল সরিয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো চুলে একটা ড্রাইনেস আনে। কন্ডিশনার চুলে ময়েশ্চার সেই ফিরিয়ে আনতে আর চুলের কিউটিকলকে স্মুদ করতে সাহায্য করে। আর চুল অনেকটা ম্যানেজেবলও করে। প্রতিবার চুলে শ্যাম্পু করার পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। স্ক্যাল্পে কন্ডিশনার লাগাবেন না, চুলের শেষ প্রান্তে লাগান। কয়েক মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ব্রাশিং/ কম্বিং- ব্রাশিং চুল ছাড়াতে বা জটমুক্ত করতে আর স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে। আপনার চুলকে জটমুক্ত রাখতে দিনে এক থেকে দু’বার হেয়ার কম্ব করুন। একটি চওড়া-দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন। আর ভেজা চুল আঁচড়াবেন না।
চুল শুকানো- সঠিক পদ্ধতিতে চুল শুকালে স্প্লিট এন্ডস্ কম হবে। ঘষে ঘষে চুল না শুকিয়ে শুকনো তোয়ালে দিয়ে আলতো করে চুল শুকিয়ে নিন। যতটা সম্ভব হাওয়াতে চুল শুকাতে দিন। হেয়ার ড্রায়ার ইউজ করলে কম হিটে সেট করুন, তবে ইউজ কম করলেই ভাল হয়।
ময়শ্চারাইজিং/ ট্রিটমেন্ট- ময়শ্চারাইজিং আপনার চুলে অতিরিক্ত হাইড্রেশন আনতে আর চুলকে চকচকে করতে সাহায্য করে। চুলের পুষ্টির জন্য ও চুল মজবুত করতে সপ্তাহে একবার ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করার পরে মাস্কটি পুরো চুলে ভাল করে লাগিয়ে নিন এবং কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
ট্রিমিং- চুল সুন্দর রাখতে গেলে অল্প হলেও চুল কাটতেই হবে। বা তিন মাস অন্তর অন্তর চুল ট্রিমিং করানো খুব ইম্পোর্টেন্ট। এতে স্প্লিট এন্ডস্ থাকলে বাদ চলে যায় এবং চুল হেলদি থাকে। আর চুল আরও সুন্দর দেখায়।
চুলকে সুস্থ, সুন্দর রাখতে ভিতর থেকে হাইড্রেশন প্রয়োজন। আর এর জন্য প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। আর এই সহজ সাধারণ বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে বা সঠিকভাবে মেনে চললে, আপনিও সুন্দর চুলের অধিকারী হতে পারবেন।