টসটসে রসালো জাম দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন সুস্বাদু। মিষ্টি এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, জিংক, কপার, গ্লুকোজ, ডেক্সটোজ ও ফ্রুক্টোজ, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও স্যালি সাইটেলসহ অসংখ্য উপাদান। এছাড়াও জামের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারত, বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়া এবং চীনে জামের ব্যবহার হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদী এবং ইউনানী চিকিৎসাতেও জাম ব্যবহার করা হয়।
মানুষের মুখের লালার মধ্যে এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ উৎপাদিত হয়, যা হতে ব্যাক্টেরিয়ার জন্ম নেয়। এ ধরনের ব্যাক্টেরিয়া হতে মুখে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর জাম মুখের ভেতর উৎপাদিত ক্যান্সারের সহায়ক ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করে মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম বা এর জুস দারুণ উপকারী। এতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে। জামে উপস্থিত ফ্ল্যাভনয়েড ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এর বীজও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুণ কার্যকরী।
জামে গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ রয়েছে, যা মানুষকে জোগায় কাজ করার শক্তি। বয়স যত বাড়তে থাকে, মানুষ ততই হারাতে থাকে স্মৃতিশক্তি। জাম স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে।
জামে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডিয়াটরি ফাইবার থাকায় এটি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি কোষ্টকাঠিন্য কমায়।
ডায়েরিয়ার রোগীদের জন্য জামের রস বেশ উপকারী। নিয়মিত জামের রস খেলে মূত্রথলিও ভালো থাকে।
জামে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকায় ওজন কমাতে এটি বেশ কার্যকরী।
দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে কালো জাম দারুণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ দূর করতেও জামের জুড়ি নেই।
জাম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। সেইসঙ্গে রক্তশূন্যতা ও অ্যাজমা সমস্যা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
বর্ষায় বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণ কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কালো জামের তুলনা নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, জামে যেসব উপাদান আছে যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।