ভারতীয় পরিবারগুলোকে বলা যায় কাঁসা-পিতলের ভান্ডার। আর কাঁসা-পিতলের বাসনপত্র মানেই আভিজাত্যের প্রকাশ। বাড়িতে পুজো হোক বা আত্মীয়ের আগমন, ঝুলি থেকে বের হয় এইসব বাসনপত্র। আয়ুর্বেদে পিতলের পাত্রে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। আমাদের মা-ঠাকুমারা তেঁতুলের টুকরো দিয়ে অনায়াসে পিতলের বাসন, মূর্তি পরিষ্কার করে ফেলতেন। অনেকের বাড়িতেই এখনও অনেক পুরানো পিতলের থালা-বাটি আছে। কিন্তু সেগুলো থেকে কালচে দাগ ওঠাতে যেন কালঘাম ছুটে যায়। তাই এগুলো সহজে পরিষ্কার করার কয়েকটি টিপস্ দেবো।
লেবু ও নুনের স্ক্রাবঃ পিতলের বাসন পরিষ্কার করার জন্য, বাসন পরিষ্কার করার লিকুইডের সঙ্গে সামান্য নুন আর লেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার বাসনে মিশ্রণটি ভাল করে মাখিয়ে রেখে দিন মিনিট দশেকের জন্য। তারপর স্পঞ্জ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। পিতলের বাসন একেবারে চকচক করবে।
ভিনিগার ও বেকিং সোডার মিশ্রণঃ পিতলের বাসন ঝকঝকে করে তুলতে ভিনিগার আর বেকিং সোডার মিশ্রণ দারুণ কাজে আসে। দুটি উপাদানই সম পরিমাণে নিয়ে একটি বাটিতে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার স্পঞ্জে মিশ্রণটি নিয়ে ভাল করে বাসনে মাখিয়ে নিন, মিনিট পনেরো পর জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
টমেটো সসঃ পকোড়া হোক কিংবা নুডল্সের সঙ্গে খাওয়ার জন্য প্রায় প্রতিটি হেঁশেলেই টমেটো সস্ থাকে। পিতলের বাসন পরিষ্কার করতে এই সসই কাজে আসতে পারে। একটি সুতির কাপড়ে বেশি করে সস নিয়ে বাসনের গায়ে মাখিয়ে নিন। মিনিট দশেক পরে ভাল করে ঘষে ঘষে পানি ধুয়ে নিন। এই উপায়ে পরিশ্রম কিংবা কোনও রকম ঝক্কি ছাড়াই পিতলের বাসন ঝাঁ-চকচকে হয়ে যাবে।
পিতাম্বরীঃ পিতাম্বরী পিতলের বাসন পরিষ্কার করার জন্য একটি উপযুক্ত পাউডার। এই পাউডারের মাত্র কিছু পরিমাণ নিয়ে বাসনে ঘষতে হবে। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং একটি নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিন।