jamdani

শীতকালে রঙিন রাখুন বাগান এইসব ফুলে

শীতে বাগান রঙিন থাকবে না তাই কখনো হয়! এসব গাছ শীতে তো আপনাকে ফুল উপহার দেবেই, সেই সঙ্গে বাড়াবে বাগানের সৌন্দর্যও । সাধারণত শীতে গাছের পাতা ঝড়ে গেলেও এই ফুলগুলোই আমাদের মনে খোরাক জোগায়। জেনে নিই শীতকালীন ফুল সম্পর্কে…

  • শীতে ফুলের কথা মাথায় এলেই সবার আগে যে ফুলটার নাম মাথায় আসে সেটি হচ্ছে গাঁদা। বাগানে হলদে কিংবা কমলা গাঁদার বিচরণ মনে যেন আনন্দ নিয়ে আসে। খুব কম যত্নেই বাগানে হয়ে যায় গাঁদা। গাঁদার মধ্যেও আছে নানান ভেদ। দেশি গাঁদা, রাজ গাঁদা, ইনকা গাঁদা, জাম্বো গাঁদা, চায়না গাঁদা, রক্ত গাঁদা ইত্যাদি। যে কোনো একটা জাত দিয়ে শুরু করতে পারেন বাগান। আসলে শীতের বাগান গাঁদা ছাড়া ঠিক মানায় না।
  • শীতে ফুল বাগানটাকে রঙিনের পাশাপাশি স্নিগ্ধ ও সুগন্ধিময় রাখতে চাইলে বাগানে রাখতে পারেন রজনীগন্ধা। রজনীগন্ধার ম্যাচিউর বাল্ব থেকে এই সময়টাতে ফুল পাওয়া যায় অনেক। এই বাল্বগুলো থেকেই পরবর্তীতে আরো বাল্ব হয়ে ফুল দেয়। রজনীগন্ধা সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে, ডাবল পেটাল ও সিঙ্গেল পেটাল।
  • শীতের সবচেয়ে সুন্দর ফুল ডালিয়া। এর পাঁপড়িগুলো হয় নানান রঙের, বৈচিত্রে ভরপুর। আপনার বারান্দা কিংবা ছাদ বাগানকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে চাইলে একপাশে ডালিয়াও লাগাতে পারেন। মেক্সিকো থেকে এদেশে আসা এই ফুলটা সাধারণত বড় সাইজের হলেও এখন নতুন ভ্যারাইটির ছোট সাইজের ফুলের গাছও পাওয়া যায়।
  • এই সময়টাতে বাগানে রাখতে পারেন গোলাপের বিভিন্ন জাতও। গোলাপ সারা বছরই ফোটে। তাই বাগানের সৌন্দর্য বাড়াতে কিন্তু গোলাপ লাগেই। বিদেশী গোলাপের জাতগুলো আজকাল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বাগানিদের কাছে। তার মধ্যে এলিজাবেথ, জুলিয়াস রোজ, ব্ল্যাক প্রিন্স, ইরান, রোজ গুজার্ড – এই জাতগুলো উল্লেখযোগ্য। আর হ্যা, গোলাপ গাছের মরা ডালপালা নিয়মিত ছাটাই করতে ভুলবেন না যেন।
  • এই ফুলগুলোর পাশাপাশি বাগানে লাগাতে পারেন চন্দ্রমল্লিকা, অ্যাস্টার, আইস প্ল্যান্ট, ক্যামেলিয়া, প্যান্সি, হলিহক, কামিনী, ভারবেনা, সিলভিয়া, ডেইজি, কসমস, ক্যালাঞ্চু, মর্নিং গ্লোরি, সূর্যমুখী, ক্যালেন্ডুলা, পিটুনিয়া, অ্যাজালিয়া, সন্ধ্যামালতি, মোরগঝুঁটি, গ্যাজানিয়া, সুইট পি, পর্তুলিকা, মেস্তা জবা, ডায়ান্থাস, লুপিন, কারনেশন, পপি এসবও।

আপনার আশেপাশের যে কোনো নার্সারীতে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন এসব ফুলের গাছ। নার্সারীতে টবসহ চারাও পেয়ে যাবেন। অনেক সময় ফুলের কলি কিংবা ফুটন্ত ফুলসহ চারাও কিনতে পাওয়া যায়।

কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখুন –

  • রোদ আসে এমন জায়গায় গাছ লাগানো ভালো। এতে ফুল আসে দ্রুত।
  • গাছের গোড়া ভেজা ভেজা থাকলে জল না দেওয়াই ভালো। মাটি একেবারে শুকিয়ে গেলে জল দিন।
  • গাছ একটু বড় হলে খুঁটি দিয়ে বেঁধে দিন। ঢলে পরার চিন্তা থাকবে না।
  • ফুল শুকোতে ধরলে গাছ থেকে ছিড়ে ফেলুন বা কেটে ফেলুন, তাহলে সেখানে আবার ফুল আসবে।
  • গাছে ফুল ফুটতে শুরু করলে ডাল, পাতা ভিজিয়ে জল দেওয়ার দরকার নেই।
  • এক সপ্তাহ পরপর গাছের গোড়ার মাটি খুচিয়ে দিন ও আগাছা তুলে ফেলুন।
  • সার না দিলেও পনের-কুড়ি দিন পরপর গাছের গোড়ায় খৈল পঁচা জল দিন।
  • নিয়মিত গাছে ডিটারজেন্ট মিশ্রিত জল স্প্রে করুন। এতে গাছে পিঁপড়ে, মিলিবাগ ও অন্যান্য পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হবে।

Trending

Most Popular


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes