jamdani

এই শীতে চা-এ গরম উইথ খেজুর রস

‘খেজুর রসের চা’ -নতুন শুনতে লাগছে? আর না হলে, মনে মনে নিশ্চয়ই ভাবছেন এই স্বাদটা যদি সত্যিই পাওয়া যেত, আহা! শুধু স্বাদের দিক থেকেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর খেজুর রস। আর চায়ের নেশা যাদের প্রবল তারাও কয়েক চুমুক দিয়েই দেখুন না! তাই চা এবং খেজুর রসকে মিশিয়ে দিলে যে অসাধারণ স্বাদটা পাবেন তার হদিশ রইল অদ্বিতীয়ার পক্ষ থেকে। তবে এই বিশেষ চা পান করার আগে একঝলক দেখে নেব খেজুর রসের পুষ্টি-গুণগুলি।

একাধিক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খেজুর রস। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ, প্রোটিন এবং ফ্যাট। খেজুর রসে থাকে ১৫-২০% দ্রবীভূত শর্করা, যা গুড় তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। স্বাদ-গন্ধ তো বটেই, বছরের নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া যায় বলে এই গুড়ের চাহিদাও বেশি।

  • বলা হয় সকালে উঠে একগ্লাস খেজুর রস পান করলে সারাদিন চনমনে, সতেজ থাকা যায়। এর কারণ, খেজুর রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি এবং গ্লুকোজ। তাই এক-কথায় বলতে গেলে এই রস এনার্জি ড্রিংক হিসেবে কাজ করে।
  • খেজুরের রস কাঁচা না খেতে চাইলে সামান্য জ্বাল দিয়ে গুড় বানিয়েও খেতে পারেন। খেজুর গুড়ে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন, যা আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে।
  • যারা কাজকর্মে শক্তি পান না বা শারীরিক দুর্বলতায় ভোগেন, তারা খেজুর রস বা গুড় খেলে উপকার পাবেন।

আসুন এবার আসা যাক মূল বিষয়ে। ‘খেজুর রসের চা’ –কীভাবে বানাবেন এই বিশেষ চা, জেনে নেওয়া যাক।

খেজুর রসের চা 

উপকরণঃ

(২ কাপ চায়ের জন্য) হালকা জ্বাল দেওয়া খেজুর রস ১ কাপ, জল ১ কাপ, চিনি ১ টেবল চামচ, চা পাতা ৩ টেবল চামচ, গুঁড়ো দুধ ৩ টেবল চামচ

প্রণালীঃ

  • একটি পাত্রে পরিমাণ মতো খেজুর রস এবং জল দিয়ে ফুটতে শুরু করা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
  • এবার চিনি মিশিয়ে ২ মিনিট ভালোভাবে ফোটান।
  • চা পাতা দিয়ে ২ মিনিট মাঝারি আঁচে ফুটতে দিন (বেশি ফোটালে তেতো হয়ে যাবে)।
  • চায়ের রঙ ধরে গেলে নামিয়ে নিন।
  • অন্য একটি পাত্রে গুঁড়ো দুধের সঙ্গে সামান্য লিকার মিশিয়ে তরল মিশ্রণে পরিণত করুন।
  • এবার সম্পূর্ণ লিকারটি দুধের পাত্রে ঢেলে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিলেই তৈরি খেজুর রসের চা।

 

 

Trending


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes