রীতি যেমনই হোক না কেন বিয়ে মানেই বেশ জাঁকজমকপূর্ণ একটা বিষয়। অনেক আলোর রোশনাই, হই হুল্লোড়, ভালো খাওয়া-দাওয়া সব মিলিয়ে জমজমাট। যে কোনও অনুষ্ঠানেই ভারতীয়রা হুল্লোড় করতে ভালোবাসেন। হতে পারে সেটি গৃহপ্রবেশ, জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী কিংবা বিয়ের অনুষ্ঠান। এখনও বেশ কিছু জায়গায় পণপ্রথার প্রচলন রয়েছে। অনেকেই এখনও ভাবেন মেয়েকে বাবা-মা সাধ্যমতো গুছিয়ে দেবেন। ছেলে বিয়ে করে বাড়িতে বউ আনছে বলেই বিশাল কিছু করে ফেলেছে এমন ভাবনাও থাকে বেশ কিছু অভিভাবকের মধ্যে। এখনও ছেলের বাড়ি থেকে ঘটা করে মেয়েকে দেখতে আসে। আর তাই তাকে পরিপাটি করে সাজিয়ে রাখা হয়।
শুধু যে তাই নয়, কোনও মেয়ে যদি একটু মোটা হন বা কালো হন বাড়ির লোকের আপ্রাণ চেষ্টা থাকে কীভাবে মেয়েতে ত্বন্বী করে পাত্রপক্ষের কাছে উপস্থিত করবেন। সেই সঙ্গে রান্না জানা, ঘর গোছানো মোট কথায় গৃহকর্মে নিপুণা হতে হবে। সে যতই তোমার বড় বড় ডিগ্রি থাক না কেন। যতই তুমি ভালো চাকরি করো না কেন। এরকম বিয়ের গল্প তো সকলেরই চেনা। আজ জেনে নেওয়া যাক, ইন্দোনেশিয়ার বিয়ের আচার অনুষ্ঠানের কথা…
ইন্দোনেশিয়াতে ছেলের বাড়ির লোকেরা মেয়ের বাড়িতে আসে বেশ কিছু উপহার নিয়ে। দুই পরিবারের মধ্যে আলাপচারিতা, আত্মীয়তা জমে ওঠে। এরপর ছেলের বাড়ির লোকেরা মেয়ের হাত ধরে জানতে চায় বিয়ে নিয়ে সে কী ভাবছে, এই বিয়েতে তার মত আছে কিনা। সে বিয়ে করতে রাজি কি না।
যদি মেয়ের সম্মতি থাকে এবং দুই বাড়ির মধ্যে কথাবার্তা পাকাপাকি হয় তখন ছেলের বাড়ির লোকেরা মেয়ের মাথা থেকে সামান্য চুল কেটে নিয়ে যায়। এই চুল কাটা হয় কাঁচি এবং কয়েনের সাহায্যে। শুরু হয় বিয়ের আয়োজন।
বিয়ের আগের রাতটা কনে তার বান্ধবীদের সঙ্গে কাটায়। সেদিন সারাদিন রূপচর্চার পর রাতে হয় মেহেন্দির অনুষ্ঠান। এদিন সকালে ছেলে আর মেয়ে দুজনকেই জলের মধ্যে সুপুরি দিয়ে স্নান করানো হয়। নয় রকম পাথর আর সাদা ফুল দিয়ে স্নানের জায়গা সাজানো হয়।
বিয়ের দিন কনের বড় দিদি ও বাকি বোন তার বন্ধুদের সঙ্গে বিয়ের আসরে আসে মেয়েরা। এবার সেই দিদি বড়দের থেকে নব দম্পতির জন্য আর্শীবাদ নেন। এরপর মেয়ে ও ছেলের বাবা-মায়ের থেকে অনুমতি নেন তিনি। তারপর শুরু হয় বিয়ের আচার অনুষ্ঠান।
বিয়ের দিন বর-কনে দুজনে পাশাপাশি বসে। তাদের চারপাশে বেশ কয়েকটি বালিশ আর ৭টি রঙের কাপড় রাখা থাকে। উপস্থিত অতিথিরা বিয়ের শেষে নবদম্পতির হাতে লাল কাপড়ের টুকরো বেঁধে দেন।
Pic Curtesy- bride story
সন্দীপ মুখোপাধ্যায় - “নাম কী? থাকো কোথায়? কোন ক্লাস অবধি... Read More
লিপস্টিক আমার কাছে লিপস্টিক নয়। লিপস্টিক আমার কাছে প্রতীক। রং...
আমরা সবাই জানি যে ত্রিদেব বলতে ব্রহ্মাণ্ডের তিন প্রধান স্তম্ভকে...
নাতাশা স্নান সেরে এসছে। সারাটা ঘরই এখন গন্ধস্নান করছে। একই...
পুলিশের উর্দিটা তখনও গা থেকে খুলিনি, সুসময়ী বলল, “তােমার জন্য...
শাে তখন জমে উঠেছে। শীতের সন্ধে। গায়ে ছিল হালকা জ্যাকেট।...
চা আর প্রজাপতি বিস্কুট। খাবার মধ্যে এই। কিন্তু কথা ছিল...
রিশপের ছবিগুলাে সব ফেসবুকে আপলােড করার পর কম্পিউটারের সামনে থেকে...
সকাল বেলাটা আজকাল বিজনের বেশ সমস্যার। থিতু হয়ে প্রভাত উপভােগ...
লােকে ‘ব্যোমকেশ’ নামে ডাকেন। নতুন নামকরণ হয়েছে ‘সােনা দা। এদিকে...
আজও এই শহরের সরু অলি-গলি তাকে নস্ট্যালজিক করে তােলে। তাই...