jamdani

জানেন কি আপনার প্রিয় লিপস্টিক কতটা সুরক্ষিত

সকালের হালকা সাজ হোক বা সন্ধ্যের জমকালো সাজ, লিপস্টিক ইজ আ মাস্ট চয়েস। আপনার প্রতিদিনের সাজের একটা বড় অঙ্গ হচ্ছে লিপস্টিক। আর তাই সাজগোজের সমস্ত সামগ্রীর মধ্যে লিপস্টিককে ‘জনপ্রিয়তম’ খ্যাতিতে আখ্যায়িত করলে তা মোটেই বাড়াবাড়ি হবে না। সব রকমের অনুষ্ঠানে, যে কোন রকমের পোশাকের সঙ্গে মানানসই রঙে ঠোঁট রাঙিয়ে আপনি অনায়াসে সুন্দরী হয়ে উঠতে পারেন।
কিন্তু এমন স্টাইল একসেসরিজ ব্যবহারের আগে কখনও চেক করে দেখেছেন কি সেটা এক্সপায়ার করে গেছে কিনা? মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিক ঠোঁটে লাগালে সেটা আপনার স্বাস্থ্যের নানা ক্ষতি করতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এক্সপায়ারড লিপস্টিক থেকে আপনার কি কি ক্ষতি হতে পারে।

মেয়াদ উত্তীর্ণ লিপস্টিক ব্যবহার করলে যা হবে

মেয়াদ উত্তীর্ণ লিপস্টিকে থাকে ব্যাকটেরিয়া। এর থেকে আপনার ঠোঁট ও তার আশপাশে হতে পারে ইনফেকশন। লিপস্টিকের অন্যান্য উপাদানগুলো হলো ল্যানোলিন, ওয়াক্স ও ডাই। মেয়াদোত্তীর্ণ ল্যানোলিন থেকে আপনার ঠোঁটে অ্যালার্জি হতে পারে। এছাড়া ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া, ঠোঁট ফাটা বা মিউকাস মেমব্রেন পর্যন্ত হতে পারে। আর পরবর্তীকালে এগুলোর জন্য আপনার ঠোঁটে ব্যথাও হতে পারে। এক্সপায়ারড লিপস্টিক ব্যবহার করলে তার উপাদানে থাকা সিসা থেকে বিষক্রিয়া হতে পারে। এর ফলে রক্তশূন্যতা, পেটে ব্যথা, রেনাল ফেলিওর সহ নানা জটিল অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিকের অবস্থিত রঞ্জক পদার্থ অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে এসে ক্যানসারের কারণ হতে পারে।


কীভাবে বুঝবেন লিপস্টিকের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে?

১। লিপস্টিকের গায়ে লেখা এক্সপায়ারি ডেট খেয়াল করুন। সাধারণত একটা প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ১২ থেকে ১৮ মাসের পর্যন্ত শেল্ফ লাইফ থাকে।
২। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া লিপস্টিক আপনি ঠোঁটে লাগালেই বুঝতে পারবেন। যেমন ধরুন, অস্বস্তি অনুভব করতে পারেন। এক্সপায়ারড লিপস্টিক ঠোঁটকে আর্দ্র করবে না। এবং তা ঠোঁটের সঙ্গে সহজে মিশেও যায় না।
৩। মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে লিপস্টিক তার নিজস্ব গন্ধ হারিয়ে ফেলে। তাই ব্যবহারের আগে শুঁকে দেখুন আপনার লিপস্টিকের স্বাভাবিক গন্ধটা আছে কি না।

Trending


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes