jamdani

এই মুরগিটি মুন্ডু ছাড়া বেঁচেছিল দেড় বছর

আপনি ভাবছেন মুণ্ডু ছাড়া কেউ বেঁচে থাকতে পারে নাকি? এসব তো কল্পবিজ্ঞানের বিষয়। কিন্তু আদতেই বাস্তবে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। কলোরাডোর ফ্রুটা শহরের লয়েড ওলসেন ও তাঁর স্ত্রী ক্লারা বিভিন্ন দোকানে মাংস সাপ্লাই করতেন। ১৯৪৫-এর সেপ্টেম্বরের এক সকালে গোটা চল্লিশেক মুরগি কাটার পর তাঁদের নজর পড়ে, ধড় থেকে মাথা আলাদা হলেও একটি মুরগি টলতে টলতে দৌড়চ্ছে।

এরপর ওই মুরগিটিকে একটি বাক্সে ভরে রেখে ওই দম্পতি ঘুমোতে চলে যান। পরের দিন সকালে এসে ওই দম্পতি দেখলেন মুরগিটি তখনও দিব্বি হেঁটে চলে বেড়াচ্ছে। এই অত্যাশ্চর্য খবরটি ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ল সমস্ত শহরে। আর এই অলৌকিক মুরগিটির নাম দেওয়া হয় ‘মিরাকল মাইক’।

অনেক বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক পরবর্তীকালে মিরাকল মাইক বানাতে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। আসলে বিজ্ঞানীরা বলছেন লয়েড যখন মাইক নামক মুরগিটির মাথায় কোপ মারেন, তখন তার একটা কান বাদ দিয়ে চোখ, ঠোঁট-সহ গোটা মাথাটাই কেটে বাদ চলে যায়। কিন্তু মুরগিদের মাথার পিছনেই থাকে মস্তিষ্কের মূল অংশটা। মাইকের ক্ষেত্রে আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে যায় তার মস্তিষ্কের ৮০ শতাংশ অংশই। মাইকের মস্তিষ্কের এই অংশটাই তার শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃদ্‌স্পন্দন, খিদে, হজম নিয়ন্ত্রণ করত। সময় মতো মাইকের ক্ষতর কাছে রক্তও জমাট বেঁধে গিয়েছিল, ফলে সে ভাবে রক্তক্ষরণও হয়নি।

মাথা না থাকায় একটি ড্রপারে করে তরল খাবার ও জল সরাসরি খাদ্যনালিতে ঢেলে দেওয়া হত। আর প্রায় দেড় বছর মুরগিটি বেঁচে ছিল। এই ঘটনা সমগ্র বিশ্বে খুব ভাইরাল হওয়া একটি খবর। বিভিন্ন প্রদর্শনীতে মুরগিটিকে দেখানো হত। কিন্তু হঠাৎ করেই তাকে খাবার খাওয়াতে গিয়ে গলায় দানা আটকে মৃত্যু ঘটে একদিন। আজও এই বিস্ময়কর মুরগি মাঝেমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের আলোচনায় চলে আসে।

কলোরাডোর ফ্রুটা শহরে এখনও দেখা মিলবে মাথাবিহীন মুরগিটির স্ট্যাচু।

Trending

Most Popular


Would you like to receive notifications on latest updates? No Yes